দাদরির ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মৃত, পিটিয়ে মারার অভিযোগ পরিবারের
লখনৌ, ৫ অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশের দাদরির মহম্মদ আখলাককে গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে খুন করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দিল্লির হাসপাতালে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থেকে মারা গিয়েছে বলে খবর। [সাবধান! দশ টাকার কয়েন আপনাকে দেশদ্রোহী বানাতে পারে]
মৃত অভিযুক্তের নাম রবিন ওরফে রবি (২০)। জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা হওয়ায় গত দু'দিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি ফেল করার কারণে এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে রবি মারা গিয়েছে। [বউয়ের কামড়ে বেঘোরে প্রাণ গেল বরের]
দিল্লির হাসপাতালের সুপার জেসি পাসি জানান, রবিকে যখন আনা হয় তখন তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। কিডনি ফেল করে গিয়েছিল। তাছাড়া ব্লাড সুগারের মাত্রাও অত্যধিক ছিল। দুপুর ১২টা নাগাদ তাকে আনা হয়। এবং সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সে মারা যায়। [মোবাইলের পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন করাল স্বামী]
যদিও পুলিশের ও চিকিৎসকের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে অভিযুক্তের পরিবার। তাদের দাবি পুলিশের মারধরের ফলে মারা গিয়েছে রবি। গত একবছর ধরে নয়ডার জেলে রবির উপরে অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশই। [দলিত হওয়ায় মন্দিরে জল পেল না কিশোরী, ত্রিশূল নিয়ে বাবাকে তাড়া পুরোহিতের]
পুলিশ জানিয়েছে, রবির মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে ময়নাতদন্ত হবে। এছাড়া যেহেতু অভিযুক্ত পুলিশের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে মারা গিয়েছে সেহেতু গোটা ঘটনার তদন্তও হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দাদরিতে মহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে মারা হয়। ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আখলাকের বাড়ি থেকে যে মাংস পাওয়া গিয়েছিল তা শেষপর্যন্ত গরুর বা সেই প্রজাতির কোনও জীবের মাংস বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে উল্লেখ্য, গোমাংস খাওয়া উত্তরপ্রদেশে কোনও অপরাধ না হলেও গো-হত্যা জামিন অযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধে ৭ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে।