প্রথমে জেল, তারপর জামিন, সারাদিন 'সলমন শো' দেশজ সংবাদমাধ্যমে
তিনি সলমন খান। যেখানেই যান, যা করেন সবকিছুইতেই সংবাদমাধ্যমের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ান। তা সেটা তাঁর সিনেমার জন্য হোক অথবা অন্য কোনও বিতর্কের জন্য। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
বুধবার সকাল থেকে, বলা যায় গতকাল থেকেই 'হিট অ্যান্ড রান' মামলায় সলমনের কী হবে তা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যায় সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। আজ সকাল থেকেই সলমনের বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায় সংবাদমাধ্যমের। বাকি অংশ চলে যায় মুম্বই নগর দায়রা আদালতের বাইরে।
এদিন সকাল থেকেই সবকটি সংবাদমাধ্যম বসে যায় সলমন মামলার চুলচেরা বিশ্লেষণে। সলমন শাস্তি পাবেন নাকি বেকসুর খালাস হয়ে যাবেন তাই ছিল সকলের প্রতিবেদনের মুখ্য বিষয়। কেউ কেউ আবার ফিরে দেখা হিসেবে ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঘটা এই মামলার নানা ভিডিও ও অন্যান্য খবর প্রতিবেদনে দেখান। মুচমুচে সব খবরে ছিল একেবারে টানটান উত্তেজনা যা কোনও অংশেই বলিউডি সিনেমার চেয়ে কম যায় না।
এরপর সকাল গড়াতেই খবর এল পথচারীকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলা ও সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলিউড হার্টথ্রব আবদুল রশিদ সেলিম সলমন খান।
উত্তেজনার অবশ্য এখানেই শেষ ছিল না। প্রায় বিদ্যুতের গতিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান সলমনের আইনজীবীরা। এবং সেটা মঞ্জুর করে ২ দিনের জামিনও দিয়েছে মুম্বই হাইকোর্ট। আর এই পুরো ঘটনাটাই একেবারে চূড়ান্ত নাটকীয়ভাবে দৃশ্যায়িত হয়েছে সর্বভারতীয় টিভি সংবাদমাধ্যমগুলিতে।
টানটান এই নাটকে কোথাও কোনও খামতি ছিল না। বিভিন্ন জগতের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন, সেগুলি দেখানো হয়েছে। গায়ক অভিজিতের টুইটারে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে গোটা বলিউডের প্রতিক্রিয়া, কোনওকিছুই বাদ ছিল না।
সবমিলিয়ে একটা জমজমাট দিন গেল সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। এখন সবাই তাঁকিয়ে আগামী শুক্রবারের দিকে। সেদিন আবার আদালতে জামিনের আবেদন জানাবেন সলমনের আইনজীবীরা। ফলে আগামিকাল মাঝে একদিনের বিশ্রাম। এরপর ফের শুক্রবার শুরু হয়ে যাবে টানটান উত্তেজনার 'সলমন শো'।