ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে একসময়ে কী বিতর্কিত মতামত দেন নয়া রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কোবিন্দ
২০০৯ সালে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের রিপোর্ট সামনে আসার পরে ২০১০ সালে রামনাথ কোবিন্দ রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনকে তোপ দেগে তা তুলে দেওয়ার কথা বলেন।
সোমবার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে একসময়ের দলিত নেতা তথা বর্তমান বিহারের রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে মনোনীত করেছে বিজেপি তথা এনডিএ। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০০৯ সালে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন সরকারি কাজে মুসলমানদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণের সুপারিশ করে। একইসঙ্গে সব জায়গার দলিতদের তপশিলি জাতি তকমা দেওয়ার কথাও বলা হয়।
সেই রিপোর্ট সামনে আসার পরে ২০১০ সালে রামনাথ কোবিন্দ রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনকে তোপ দেগে তা তুলে দেওয়ার কথা বলেন। এদেশে ইসলাম ও খ্রিস্ট্রান ধর্মের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
২০১০ সালের মার্চ মাসে কোবিন্দ বলেছিলেন, ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্ম এদেশের নয়। ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি মনে করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পিছিয়ে পড়া বর্গ হলেও তাদের সংরক্ষণের আওতায় এনে চাকরি, শিক্ষায় বিশেষ সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। এমনকী লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের মতো জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রেও সংরক্ষণ থাকা উচিত নয়।
রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন সামাজিক ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য ১৫ শতাংশ সংরক্ষণের সুপারিশ করে। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করেন রামনাথ কোবিন্দ।
তাঁর বক্তব্য ছিল তপশিলি জাতির সঙ্গে একই সারিতে মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা পিছিয়ে পড়া বর্গ হলেও তাদের এক শ্রেণিতে রাখা যাবে না, এটা অসাংবিধানিক। যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে শিখ দলিতরা এই সুবিধা পাবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য ছিল, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম এদেশের নয়। এই ব্যক্তিই আগামী দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের দাবিদার।