নাবালিকা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস কি ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে? বিচার করবে সুপ্রিম কোর্ট
স্বামী ও নাবালিকা স্ত্রীর মধ্যে সহবাস হলে তাকে ধর্ষণের অপরাধ হিসাবে গণ্য করা যায় কিনা তা বিচার করতে বসবে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাপ্তবয়স্ক স্বামী ও নাবালিকা স্ত্রীর মধ্যে সহবাস হলে তাকে ধর্ষণের অপরাধ হিসাবে গণ্য করা যায় কিনা তা বিচার করতে বসবে সুপ্রিম কোর্ট। নাবালিকা মেয়ের বিয়ের পর নানা অত্যাচারের শিকার হতে হয়। সেই অর্থে ১৮ বছরের আগে বিয়েই হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নানা প্রদেশে মেয়েদের তার আগেই বিয়ে দেওয়া হয়।
গত কয়েকবছরে নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ঘটনা অনেক কম হলেও অনেক মেয়েকেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই নাবালিকা মেয়েদের বিয়ের পর সহবাস করার ক্ষেত্রে ধর্ষণ প্রযোজ্য হয় কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে কেন্দ্র মনে করছে।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা। আগের চেয়ে মাত্রা কমলেও সারা দেশে এমন ঘটনা বহু ঘটে চলেছে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই এটি বন্ধ করা সম্ভব। পাশাপাশি আইনি হস্তক্ষেপের মাধ্যমেও সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে।
একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংগঠনের দাখিল করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে নাবালিকার সঙ্গে সহবাস ধর্ষণ কিনা তা বিচার করতে চলেছে সর্বোচ্চ আদালত। কারণ ১৮ বছর বয়সের কথা সংবিধানেই উল্লেখ করা রয়েছে। আবার ২০১৩ সালে সংশোধিত ৩৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে তা ধর্ষণ বলা যাবে না। এদিকে পসকো ধারা অনুযায়ী নাবালিকা মেয়েদের ধর্ষণে মামলা করা যায়। তবে সে বিবাহিত হসে পসকোর ধারা আনা যায় না।
আদালতে সওয়ালে বলা হয়েছে, বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন ১৮ বছর বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তেমনই সহবাসের ক্ষেত্রে একই বয়স বেঁধে দেওয়া হোক। ফলে সবমিলিয়ে কী হবে তা ঠিক করতে বসবে সুপ্রিম কোর্ট।