গাফিলতির কারণেই উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, রিপোর্ট দিল তদন্তকারী দল
উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল আরও বড় গাফিলতির তত্ত্ব। রেলের যৌথ তদন্তকারী দলের রিপোর্টে রেল ট্র্যাক মেরামতিকারী বিভাগকেই দায়ী করা হয়েছে।
উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল আরও বড় গাফিলতির তত্ত্ব। রেলের যৌথ তদন্তকারী দলের রিপোর্টে পি ডাব্লু বিভাগ যারা রেল ট্র্যাক মেরামতির কাজ করে, তাদেরকেই দায়ী করা হয়েছে দুর্ঘটনার জন্য। অবশ্য তদন্তকারী দলেরই এক সদস্য এই রিপোর্টের বিরোধিতা করেছেন।
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের খাটাউলি রেল স্টেশনের কাছে বেলাইন হয় কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা। মৃত্যু হয় ২৩ জন যাত্রীর। এই দুর্ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয় রেল বোর্ড। গঠিত হয় একটি যৌথ তদন্তকারী টিম। তিন দিনের তদন্তের রিপোর্টে রেল ট্র্যাক মেরামতিকারী বিভাগকেই দায়ী করা হয়েছে। দুর্ঘটনার একটি স্কেচ এঁকে তদন্তকারী দল বুঝিয়ে দিয়েছে, ইঞ্জিন ও প্রথম ৫টি কামরা ট্র্যাকের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ওপর দিয়ে চলে যায়। লাইনচ্যুত বাকি ১২টি কামরা থামার আগে ৪৯৫ মিটার পর্যন্ত গড়িয়ে চলে যায়। প্যান্ট্রি কারের ওপর উঠে যায় এস-২ কামরাটি। রেলের পার্মানেন্ট ওয়ে বিভাগ ট্র্যাক মেরামতির কাজ করে। তারাই প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই ট্র্যাকের একটি অংশ হ্যাক স দিয়ে কেটে ফেলে।
অবশ্য এই রিপোর্ট মানতে রাজি নয় তদন্তকারী দলেরই এক সদস্য। পি ডাব্লু ইঞ্জিনিয়ার জে জে সিং-এর দাবি, পার্মানেন্ট ওয়ে বিভাগ ট্র্যাকের কাটা অংশ জোড়া দিতে বাড়তি ২০ মিনিট সময় চেয়েছিল। কিন্তু খাটাউলি স্টেশন মাস্টার সেই সময় দিতে রাজি হননি। সিগন্যালিং বিভাগের এক কর্মীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন সিং।
অবশ্য জেজে সিংয়ের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন দলের বাকি সদস্যরা। সেই দাবি খারিজ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ট্র্যাকের কাটা অংশের ৬৫০ মিটার আগে লাল পতাকা দিয়ে সতর্কীকরণ জারি করার কথা। কিন্তু পি ডাব্লু বিভাগ সেই কাজ করেনি। এই সামান্য নিয়ম মানলেই এতবড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।