আত্মহত্যা চেষ্টার জল্পনা ভুল, ১৩ বছর বয়সে একই ধরণের শারীরিক সমস্যা হয়েছিল জানালেন ইন্দ্রাণী মুখার্জী
মুম্বই, ৭ অক্টোবর : শিনা বোরা হত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জী অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের জেলেই ফিরে গেলেন। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাঁর মাত্রাতিরিক্ত ওযুধ খাওয়া, আত্মহত্যার চেষ্টার যে জল্পনা উষ্কে দেওয়া হয়েছিল, সে দাবি নস্যাৎ করলেন খোদ ইন্দ্রাণী। জানালেন মাত্রাতিরিক্ত কোনও ওষুধ তিনি নেননি।[শিনা বোরা কাণ্ডে নয়া ট্যুইস্ট : তিন বছর আগের দেহাবশেষের সঙ্গে মিলল না ডিএনএ]
জেজে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই পুলিশের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ড করেন ইন্দ্রাণী। কোন পরিস্থিতিতে তিনি গত শুক্রবার অজ্ঞান হয়ে যান, ঠিক কী হয়েছিল, যাবতীয় বিষয়ে পুলিশের কাছে নিজের বয়ান দেন ইন্দ্রাণী। [মুম্বইয়ের নতুন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক পিটার-ইন্দ্রাণীর!]
একটি সংবাদপত্রের সংবাদ অনুযায়ী, আইজি (কারা) বিপিন কুমার সিং জানিয়েছেন, ভগবান গীতা পড়তে পড়তে আচমকাই অবচেতন হয়ে যান তিনি। এরপর তার আর কিছুই মনে নেই। [ঠিক কী কারণে শিনাকে খুন করে ইন্দ্রাণী? জেনে নিন ড্রাইভারের বয়ান]
মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন ইন্দ্রাণী। তিনি জানিয়েছেন তাঁর বয়স যখন ১৩ বছর ছিল, তখনও এই ধরণের সমস্যা হয়েছিল তাঁর। তিনি এও জানিয়েছেন, জেলে থাকাকালীন নিজে থেকে কোনও ওষুধ কখনও তিনি খাননি। জেজে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে বাইকুল্লা মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। [ শিনার মৃত্যুর পরও তাকে ও মিখেইলকে হুমকি ইমেল পাঠাতেন ইন্দ্রাণী মুখার্জী!]
সংজ্ঞা হারিয়ে ইন্দ্রাণী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে নানাধরণের জল্পনা শুরু হয়। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম জানায় জেলের ভিতরে অতিরিক্ত মাত্রায় 'অ্যান্টি ডিপ্রেশন' ওষুধ খেয়ে ফেলার কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। কেউ কেউ এটা বলতেও শুরু করেছিলেন যে, জেলের ভিতরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ইন্দ্রাণী। [শিনা কি আসলে তাঁর দাদুর সন্তান?]
আগস্ট মাসের শেষের দিকে শিনা বোরা হত্যা কাণ্ডে ইন্দ্রাণী মুখার্জী, তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না এবং তার গাড়ির চালক শ্যাম রাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার মৃতদেহ জ্বালিয়ে রায়গড়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।