বিরল মস্তিকজনিত রোগে এই শিশুর কী পরিণতি হল, জানুন বিস্তারিত
ভারতের উত্তর পূর্বের ত্রিপুরার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা রুনা বেগম। জন্ম থেকেই এক অদ্ভুত রোগকে সঙ্গে নিয়ে জন্মেছে রুনা। রুনার পাঁচ বছর বয়সে জানা গিয়েছে যে সে হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত।
ভারতের উত্তর পূর্বের ত্রিপুরার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা রুনা বেগম। জন্ম থেকেই এক অদ্ভুত রোগকে সঙ্গে নিয়ে জন্মেছে রুনা। রুনার পাঁচ বছর বয়সে জানা গিয়েছে যে সে হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত। আর এই বিরল রোগের খবর ছড়াতেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বহু সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে আসে রুনা।
হাইড্রোসেফালাস একটি মারণ তথা বিরল রোগ। সহজ ভাবে বললে বলা যায়, এই রোগে মস্তিষ্কে জল ঢুকে যায়। 'জল' অর্থআৎ মস্তিষ্কে জমতে থাকে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড। যার ফলে করোটিতে প্রেশার বাড়তে থাকে।
করোটিতে এভাবে প্রেশার বেড়ে চলার কারণে, তার মাথার আকার দেহের তুলনায় বিভৎসভাবে বাড়তে থাকে। প্রথমের দিকে ৫ বছরের রুনার মাথার মাপ ৯৪ সেন্টিমিটার হলেও, পরে অস্ত্রপোচার করে তা ৫৮ সেন্টিমিচারে আনা হয়। এই রোগ নিয়ে ২০১৩ সালে রুনাকে দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
গত রবিবারই মারা যায় সে। সারা মাথা জুড়ে একের পর এক অস্ত্রোপোচারের পর ১০ লিটার ফ্লুইড বার করে ফেললেও, এই লড়াইয়ে শেষমেশ হাল ছেড়ে দিতে হল ৫ বছরের ছোট্ট রুনাকে। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এত লড়াইয়ের পরও আর বাঁচানো জানি তাকে।