৭৪ বছর বয়সে কালারিপায়াত্তুর জাদুতে মাত করছেন মীনাক্ষী আম্মা
প্রাচীন মার্শাল আর্টসের অন্যতম কালারিপায়াত্তু শেখান মীনাক্ষী রাঘবন। বয়স মাত্র ৭৪। এই বয়সে মার্শাল আর্টসের কারিকুরি দেখিয়ে তিনি সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন মার্শাল আর্টসের অন্যতম কালারিপায়াত্তু শেখান মীনাক্ষী রাঘবন। বয়স মাত্র ৭৪। এই বয়সে মার্শাল আর্টসের কারিকুরি দেখিয়ে তিনি সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন সকলে তাঁকে চেনে মীনাক্ষী আম্মা নামে। ২০১৭ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে সকলের নজরে চলে এসেছেন তিনি।
সুপ্রাচীন এই মার্শাল আর্টস দক্ষিণ-পশ্চিম কেরল থেকে উঠে এসেছে। তলোয়ার ও ঢাল নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে 'সেলফ ডিফেন্স' করা হয় এই আর্ট ফর্মে। তারই শিক্ষা দান করেন মীনাক্ষী রাঘবন।
একেবারে কম বয়স থেকে মার্শাল আর্টস শিখে লোকজনকে শিখিয়ে আসছেন মীনাক্ষীদেবী। গত ৬৮ বছর ধরে এটাই তাঁর সবকিছু। নিজে গুরুকুল খুলেছেন। ছাত্র সবমিলিয়ে ১৫০ জন। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবা দামুর হাত ধরে এই কলা শিখতে শুরু করেন তিনি।
পঞ্চম শতকে বৌদ্ধরা কেরলে আসেন ও সেখান থেকে কালারিপায়াত্তুর প্যাঁচ জেনে তা চিনে নিয়ে যান। সেখানে তা ডালপালা মেলে ও চিনের সংষ্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে যায়। সেটাই পরে কারাটে ও জুডো নামে পরিচিতি পায়।
২০০৯ সালে মীনাক্ষী রাঘবনের স্বামী মারা যাওয়ার পরে আরও বেশি করে কালারিপায়াত্তু শেখানোয় মনোনিবেশ করেছেন তিনি। বাড়িতে এছাড়াও চার সন্তান রয়েছে। তাঁদেরও সন্তান রয়েছে। গোটা পরিবার কালারিপায়াত্তু শিখে সংষ্কৃতি বহন করে চলেছে।