দেশের দীর্ঘতম সেতু উদ্বোধনের অছিলায় চিনকে যে বার্তা দিল ভারত, তা দেখুন ফটোফিচার
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপনদী লোহিত নদীর উপর গড়ে ওঠা এই ধোলা -সাদিয়া সেতু নির্মাণের মাধ্যমে পরোক্ষে চিনের দিকে এক বার্তা ছুঁড়ে দিল ভারত।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ৩ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে শুক্রবার অসমে , দেশের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ব্রহ্মপুত্র নদীর উপনদী লোহিত নদীর উপর গড়ে ওঠা এই ধোলা -সাদিয়া সেতু নির্মাণের মাধ্যমে পরোক্ষে চিনের দিকে এক বার্তা ছুঁড়ে দিল ভারত।
৯.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের ফলে নানাবিধ সুবিধার পাশাপাশি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সেতু নিয়ে চিন ইস্যুতে কী ভাবছে ভারত, দেখে নেওয়া যাক।
চিন সীমান্তে এই সেতুর তাৎপর্য
ইন্দো-চিন সীমান্তে এই সেতুর উদ্বোধনের ফলে পরোক্ষে চিনকে সুক্ষ্মবার্তা দেওয়া হল ভারতের তরফে। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা এমনটাই। উল্লেখ্য, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজিু জানান, 'চিনের ক্রমাগত বেড়ে চলা আগ্রাসনের মনোভাবকে থামাতে , আমাদের পরিকাঠামো শক্তপোক্ত করতে হবে। যাতে আমাদারে সীমানাকে রক্ষা করা যায়।' আর এরপর এই ধোলা -সাদিয়া সেতু উদ্বোধনের ফলে চিনকে যে যথার্থ বার্তা দেওয়া গিয়েছে , সেবিষয়ে সন্দেহ নেই।
সুবিধা হবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে
ভারতীয় সেনা এই সেতু নির্মাণের ফলে যথেষ্ট উপকৃত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বড় সড় যুদ্ধযন্ত্রাংশ নিয়ে এই সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া যাবে। এর আগে সেই সমস্ত যুদ্ধ সংক্রান্ত যন্ত্র , অস্ত্র নিয়ে যেতে অনেক বেশি সময় লাগত সেনার। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে ৬০ টনের ব্যাটল ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হবে।
সেনার তরফের বক্তব্য
৯.১৫ কিমি দীর্ঘ ধোলা- সাদিয়া সেতু নির্মানের ফলে আসাম অরুণাচলের মধ্যে সংযোগ অনেক বেশি শক্তপোক্ত হল। তবে সেনার দাবি। শত্রুপক্ষের আগ্রাসন যদি প্রবলও হয় , তাহলে ব্রহ্মপুত্রের নীচ দিয়ে যদি একটি টানেল তৈরি হয়, তাহলে সেনার পক্ষে সমরাস্ত্র নিয়ে যাওয়া আসাতে সুবিধা বেশি হবে। তাতে সেতুতে যদি শত্রুপক্ষ হামলাও করে, তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না। এমনই মত শিলং এ নিযুক্ত সেনা অফিসারের।
সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের
সেনাবাহিনী ছাড়াও সাধারণ মানুষও এই সেতু দ্বারা উপকৃত হবেন। আগে অসম থেকে অরুণাচলে যেতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন এই সেতুর ফলে সময় লাগবে ৪ন ঘণ্টা।
নির্মাণ কাজের চ্যালেঞ্জ
এই
সেতু
নির্মাণ
করা
মোটেও
সহজ
বিষয়
ছিলনা।
বেশ
কিছু
ক্ষতিপূরণ
পর্বের
পর
এই
নির্মাণের
কাজ
শুরু
হয়।
উল্লেখ্য,
এই
সেতু
ছাড়াও
এখানে
'টু
ওয়ে
ট্রান্স
অরুণাচল
হাইওয়ে'
তৈরির
কাজ
চলেছে।
বিজেপি সরকারের বর্ষপূর্তি
কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারের ৩ বছর আর অসমে বিজেপি শাসিত সরকারের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই সেতুর উদ্বোধন একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। যদিও এই সেতুর কাজ শুরু করা হয় ২০১১ সালে।