কালামের দর্শনই তাঁর প্রেরণা, আঠেরোতেই বিশ্বকে মাত করেছে রিফত শারুক
১৮ বছর বয়সী রিফত শারুকের নেতৃত্বে এক মাহাকাশ গবেষণারত বিজ্ঞানীর দল আবিষ্কার করেছে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা কৃত্রিম উপগ্রহ। একনজরে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক রিফত ও তাঁর গবেষণা সম্পর্কে।
আগামী ১৫ অগাস্ট দেশজুড়ে পালিত হবে স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। ভারতবাসী উজ্জাপন করবে দেশের একাত্মবোধকে, দেশের গণতান্ত্রিক চেতনাকে, দেশের উন্নয়নকে। আরও একবার ভারতবাসী হওয়ার গর্বে গর্বিত হবে গোটা দেশের নাগরিক।
স্বাধীনতার পর থেকেই এদেশের সমৃদ্ধিতে এক বড় ভূমিকা পালন করেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান। সাম্প্রতিককালে, ভারতের স্পেস রিসার্চ সেন্টার 'ইসরো'-র একের পর এক উপগ্রহ মাহাকাশে পাড়ি দিয়ে দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা ক্ষেত্রকে অহংকারের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এই গবেষণা ক্ষেত্রে শুধু ইসরো নয়, অবদান রয়েছে আরেক 'বিস্ময় বিজ্ঞানী' রিফত শারুকেরও। ১৮ বছর বয়সী রিফত শারুকের নেতৃত্বে এক মাহাকাশ গবেষণারত বিজ্ঞানীর দল আবিষ্কার করেছে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা কৃত্রিম উপগ্রহ । একনজরে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক রিফত ও তাঁর গবেষণা সম্পর্কে।
কে এই রিফত শারুক ?
ভারতের তামিলনাড়ুর পাল্লাপাট্টির পদার্থবিদ্যার স্নাতক স্তরের ছাত্র রিফত। পাশপাশি 'স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া'-তে তিনি গবেষণার কাজে নিযুক্ত । সেখানেই গবেষণা করার সময়ে মাহাকাশ বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন রিফত। রিফত ও তাঁর সঙ্গীরা মিলে আবিষ্কার করেন বিশ্বের সবচেয়ে হালকা কৃত্রিম উপগ্রহ 'কালামস্যাট'।
'কালামস্যাট' সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য
রিফত ও তাঁর সঙ্গীদের তৈরি করা বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উপগ্রহটির নামকরণ হয়েছে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বিজ্ঞানী প্রয়াত আব্দুল কালামের নামে। 'কালামস্যাট' নামের এই উপগ্রহর ওজন ৬৪ গ্রাম। যা স্মার্টফোনের চেয়েও হালকা। উপগ্রহটি ৩.৮ সেন্টিমিটারের একটি ঘনক । প্রিন্টিং মাধ্যমে এটিকে বানানো হয়েছে। রি-ইনফোর্সড কার্বোন ফাইবার পলিমার দিয়ে তৈরি এই উপগ্রহ।
উপগ্রহটির লক্ষ্য কী ?
মহাকাশের 'মাইক্রো গ্র্যাভিটি'-র পরিবেশে ১২ ধরে কাজ করবে এই উপগ্রহ। এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বাতাসের চাপ নির্ণয় করতে পারে। এছাড়া বহির্বিশ্বের রেডিয়েশনও মাপতে সক্ষম এটি। মূলত প্রযুক্তিতে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণায় সাড়া ফেলে দিয়েছে এই উপগ্রহ। মহাকাশে এর সময়কাল ২৪০ মিনিটের।
গবেষণা সফল করতে 'নাসা'-র সাহায্য
রিফতের নেতৃত্বে তাঁর সঙ্গীরা মিলে যে উপগ্রহটি তারি করে তা মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে সাহায্য করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা'। এর সঙ্গে সাহায্য করে 'আই ডুডল লার্নিং' নামের আরেও একটি সংস্থা। এর আগে 'কিউবস ইন স্পেস' নামের এক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় রিফতরা। সেখান থেকেই তাঁদের এই প্রকল্প নির্বাচিত হয়ে, তা পরে মহাকাশে পাড়ি দেয়।