শাহবাজ শরিফকে নিয়ে আশাবাদী ভারত, নেপথ্যে একগুচ্ছ কারণ
নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আমলে সম্পর্কের বরফ গলবে বলেই মনে করছে ভারত। নিজের তাগিদেই শাহবাজ পড়শি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির রাস্তায় হাঁটবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গদিচ্যুত হওয়ার পর ভাই শাহবাজ শরিফকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। এদিকে শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হলে ভারত- পাক সম্পর্কের উন্নতির আশা দেখছে ভারত। শাহবাজ শরিফ ২০১৪ সালেই বলেছিলেন, পাকিস্তান সেনার জন্যই ভারত- পাক সীমান্ত বাণিজ্য মার খাচ্ছে। এমনকী সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গত বছরেই আইএসআই-এর ডিজিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শাহবাজ শরিফ।
বরাবরই শাহবাজ শরিফকে পাকিস্তানের অঘোষিত বিদেশমন্ত্রীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। ভাই নওয়াজ শরিফের হয়ে একাধিকবার কূটনৈতিক সফরে দিল্লিও এসেছেন তিনি। ভারত- পাক সম্পর্কে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির ভূমিকাতেও অনেকবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকী ভারত- পাক বাণিজ্যিক সম্পর্কের বাধা হিসেবেও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকেই দায়ী করেছেন তিনি। নওয়াজ শরিফের মতই তিনিও দেশে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, আর্থিক নিরাপত্তা না থাকলে সামগ্রিক নিরাপত্তা সম্ভব নয়।
তবে ইসলামাবাদের মসনদে বসলেও তাঁর সামনে বড় বড় চ্যালেঞ্জ থাকছেই। ভারতের কূটনৈতিকমহলের মতে, পাকিস্তানের সেনাকে শাসন করাই তাঁর সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই কাজে ভাই নওয়াজ শরিফও বিশেষ সফল হননি। তবে শাহবাজ শরিফ বিলক্ষণ জানেন, এই মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদ, আইএসআই ও দেশের সেনাবাহিনীর কারণে আন্তর্জাতিকমহলে কোনঠাসা পাকিস্তান। পাশে একমাত্র চিন ছাড়া আর কেউই নেই।
সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ভাল রাখার রাস্তাতেই হাঁটবেন বলে মনে করছে ভারতীয় কূটনৈতিকমহল। এবং তারজন্য সবার আগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই তিনি কঠার পদক্ষেপ নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।