সামরিক বাহিনীকে তৈরি রাখতে ২০,০০০ কোটি টাকার অস্ত্রচুক্তি ভারতের
গত ২ থেকে ৩ মাস ধরে জরুরীকালীন ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষর করে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই চুক্তির একটাই উদ্দেশ্য হঠাৎ যুদ্ধ বাঁধলে যেন প্রস্তুত থাকে দেশের সামরিক বাহিনী।
নয়াদিল্লি, ৬ ফেব্রুয়ারি : ভারতের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধে সক্ষম রাখতে, এবার ২০, ০০০ কোটি টাকার একাধিক অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। সমারিক বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, ট্যাঙ্ক সমেত একাধিক সমরাস্ত্র দিয়ে বাহিনীকে যুদ্ধপোযোগী করে তুলতে,গত ২ থেকে ৩ মাস ধরে জরুরীকালীন ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষর করে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই চুক্তির একটাই উদ্দেশ্য হঠাৎ যুদ্ধ বাঁধলে যেন প্রস্তুত থাকে দেশের সামরিক বাহিনী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধ বাঁধলে, সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ১০ দিন লড়াই চালানোর মত রসদ যাতে মজুত থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর উরি হামলার পর অস্ত্র কেনার বিষয়ে আরও তৎপর হয়ে ওঠে কেন্দ্র।
ভারতীয়
স্থলসেনা,
নৌবাহিনী,
বায়ুসেনা
মিলিয়ে
যুদ্ধোপযোগী
অস্ত্র
প্রস্তুত
রাখা
সংক্রান্ত
কমিটিও
গঠন
করা
হয়েছে
কেন্দ্রীয়
প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের
তরফে।
এদিকে,
প্রাক্তন
সামরিক
প্রধানরা
প্রায়ই
প্রশ্ন
তোলেন,
অস্ত্র
ও
গোলাবারুদের
অপ্রতুলতা
নিয়ে।
সেই
প্রেক্ষিতে
অস্ত্রভাণ্ডার
থেকে
শুরু
করে
রণসম্ভার
যাতে
যথাযথ
পরিমাণে
মজুত
থাকে,
তার
ওপর
বিশেষ
নজর
দিচ্ছে
প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
এই চুক্তি গুলির মধ্যে ভারতীয় স্থলসেনার তরফে ১০ টি অস্ত্র চুক্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে টি -৯০, টি -৭২ ট্যাঙ্ক সমেত আরও অনান্য অস্ত্র সামগ্রী। বায়ুসেনার তরফে স্বাক্ষরিত হয়েছে ৪৩ টি অস্ত্র চুক্তি। এর মধ্যে সুখোই-৩০এমকেআই, মিরাজ-২০০০ এবং মিগ-২৯ এর মত যুদ্ধবিমান ও আইএল-৭৬, মিড এয়ার রিফুয়েলার আইএল-৭৮ এবং ফ্যালকন অ্যাওয়াক্স-এর জন্য অস্ত্র ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭- ২০১৮ আর্থিক বর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিরক্ষার মূল খরচ (ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার) বাবদ প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও, এর মধ্যে বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রকল্পের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে খামতি পুরণের জন্য।