জবরদখল করা কাশ্মীর খালি করে সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করুক পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি ভারতের
নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই : কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে গোটা উপত্যকা অশান্ত হয়ে রয়েছে। ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৪৪ জনের, আহত অন্তত ৩ হাজার। আর এই ঘটনায় পাকিস্তান সরকার উসকানি দিচ্ছে বলে সরাসরি মন্তব্য করেছে ভারত। [টাওয়ার ছাড়াই মোবাইলে যোগাযোগের নয়া উপায় বাতলেছে পাক জঙ্গিরা!]
পাকিস্তান জাতিপুঞ্জের সভায় গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছে। ভারত অন্যায়ভাবে কাশ্মীরের অধিবাসীদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে তাদের উপরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। জবাবে ভারতও পাল্টা জানিয়েছে, কীভাবে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাজে লাগিয়ে ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে পাক সরকার। [কাশ্মীরে অশান্তির জন্য হাওয়ালার মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে পাকিস্তান]
ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, পাকিস্তানে কাশ্মীর ইস্যুতে কালাদিবস পালন করেছে জাতিসংঘের দেগে দেওয়া কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা। যারা ওসামা বিন লাদেন ও আখতার মনসুরের মতো সন্ত্রাসবাদীর পক্ষে কথা বলে একসময়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এছাড়া যেভাবে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গিদের ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে ভারত ধিক্কার জানায়। [পাকিস্তানে ছাপা জাল নোট এই ৩টি দেশ ঘুরে ভারতে আসে!]
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ভারত চায় অবৈধভাবে জবরদখল করা কাশ্মীর ছেড়ে দিক পাকিস্তান। এবং একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে ভারতের মাটিতে অশান্তি পাকানো ও অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক। [ভারতের শীর্ষ আমলাদের ছল করে পাকিস্তানে আটকে রেখে মুম্বই হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা]
ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানে কাশ্মীর ইস্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছে তাক নেতৃত্ব দিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সঈদ, সঈদ সালাউদ্দিন এবং জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার, যে কিনা সম্প্রতি হওয়া পাঠানকোট হামলার প্রধান অভিযুক্ত।
এই মাসুদ আজহার নাকি এক জায়গায় বলেওছে যে, পাঠানকোট হামলা কাশ্মীরের আজাদিপন্থীদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ তৈরি করেছে। ফলে পাকিস্তান সরকারের উচিত উপত্যকায় জেহাদিদের নিরন্তর সমর্থন করে যাওয়া।
এইসব তথ্যই তুলে ধরে ভারতের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া বন্ধ করুক পাকিস্তান। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ করে অধীকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দিক।