গোটা বিশ্ব থেকে পাকিস্তানকে আলাদা করার কূটনৈতিক অবস্থান নেবে ভারত
নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর : জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে রবিবার ভোররাতে হামলার ঘটনায় মোট ২০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় পাকিস্তান নিজেদের দোষ যথারীতি অস্বীকার করলেও তাদের হাত যে রয়েছে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। [উরি হামলায় মৃত বেড়ে ২০, পাক সীমান্ত পেরিয়ে হামলার ভাবনা ভারতীয় সেনার]
ফলে কূটনীতিগতভাবে পাকিস্তানকে গোটা বিশ্বের থেকে আলাদা করাই হবে ভারতের কাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে আপাতত এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একেবারে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই হামলায় জড়িত থাকার সমস্ত প্রমাণ সামনে তুলে ধরবে ভারত। উরির হামলা যে পাকিস্তানেরই কীর্তি তা প্রমাণ করতে নামমাত্র সময়ও লাগবে না বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রমাণ হিসাবে সবচেয়ে প্রথমে উঠে আসবে জিপিএস ট্র্য়াকারের কথা। জিপিএস ট্র্যাকারের উৎসমুখ হিসাবে দেখাচ্ছে পাকিস্তানের এলাকা যেখান থেকে এই জিপিএস ট্র্যাকারটি নিয়ে ভারতে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। পাখতুন ভাষায় লেখা ও পাকিস্তানি চিহ্ন দেওয়া পোশাকও অন্যতম বড় প্রমাণ এই জঙ্গিহানা সীমান্তের ওপার থেকে এসেছে তা প্রমাণ করার জন্য।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর। সেখানেই যাবতীয় রণনীতি তৈরি হয়েছে।
তার আগে এদিন সকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসেন রাজনাথ সিং। হামলা পরবর্তী শ্রীনগর সফর বাতিল করে সেই বৈঠকে অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহঋষিও।
প্রতিবারের মতো এবারও পাকিস্তান হামলার দায় অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের জন্য কার্যত তুলোধোনা করেছে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে কূটনৈতিক প্রয়াস চালাবে ভারত।