১৬,২০০ কোটি টাকা মূল্যের কালো টাকা উদ্ধার আয়কর দফতরের
১৬,২০০ কোটি টাকা মূল্যের কালো টাকা উদ্ধার আয়কর দফতরের ,সংসদে একথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
নয়াদিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি : দেশ ও বিদেশে তদন্ত চালিয়ে, এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি কালো টাকা চিহ্নিত করা গেছে। সংসদে একথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এদিকে, 'প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা'-এর অন্তর্গত পরিকল্পনায় পরিসংখ্যান বহির্ভূত টাকা ঘোষণার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এভাবে কালো টাকা উদ্ধারের রাস্তা আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।[বিগত ৫০০ বছর ধরে ভারতের এই রাজ্যের একটি গ্রামে চলছে 'ক্যাশলেস ব্যবস্থা']
ক্ষমতায় এসেই কালো টাকা ফিরিয়ে আনবার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার পর থেকেই সেই পথেই হাঁটতে থাকেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কালো টাকা বাতিলের পর দেশব্যাপী মানুষকে প্রচুর সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তখনই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দেয় যে কালোটাকা বাজেয়াপ্ত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। তারপর থেকে কালোটাকা উদ্ধারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী শিবির।[আর একবার পুরনো ৫০০-১ হাজারের নোট বদলের সুযোগ মিলতে পারে!]
শেষমেশ, বিরোধীদের চাপে পড়ে এবার সেই কালো টাকার অঙ্কের হিসাব দিল মোদী সরকার। অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত তদন্তের জেরে, গত ২ বছরে ৮,২০০ কোটি গোপন টাকা করের আওতায় আনা গিয়েছে। এই টাকা এইচএসবিসিতে জমা ছিল বলে জানিয়েছেন অরুণ জেটলি। বিরোধীদের কড়া জবাব দিতে, কালোটাকার হদিশ পেতে সরকার কী কী কাজ করছে, সেই সমস্ত কাজেরও একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অরুণ জেটলি। বিদেশি ব্যঙ্কে ভারতীয়দের বেনামী অ্যাকাউন্টে আরও ৮ হাজার কোটি টাকা চিহ্নিত করা গেছে।[কত মাস আগে নতুন নোট সিলমোহর দেয় কেন্দ্র? জানাল আরটিআই আইন]
এই সমস্ত ভারতীয়দের নাম ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এর তরফে প্রকাশ করা হয়। রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রত্যুত্তরে একথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। যদিও সে টাকা দেশে ফেরাতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী । এর জন্য পরবর্তীকালে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার বলেও এদিন দাবি করেন তিনি।[নোট বাতিল কাণ্ডে নিয়ম লঙ্ঘন করে সাসপেন্ড ১৫৬ ব্যাঙ্ক আধিকারিক]