প্রতিদিন ভারতের এই রাজ্যে একজন করে জেলবন্দির মৃত্যু হয়!
লখনৌ, ১৭ অক্টোবর : গড়ে প্রতি ২৬ ঘণ্টায় একজন করে জেলবন্দি মারা যায় উত্তরপ্রদেশে। এক তথ্য জানার অধিকার প্রশ্নের জবাবে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল সেরাজ্যের কারা দফতর। জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২০৫০ জনের বেশি বন্দি উত্তরপ্রদেশের জেলে মারা গিয়েছে। [মাত্র ৫০০ টাকা দিলেই আপনার জেলযাত্রা কেউ আটকাতে পারবে না!]
মানবাধিকার কর্মী নরেশ পারস নামে এক জনৈক একটি তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। এই বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরকেও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। [বাচ্চাকে নিরামিষ খাওয়ালে জেল হবে এই দেশের বাবা-মায়েদের]
সেই আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, ২০১০ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে (মোট ৭৪ মাস) মোট ২০৬২ জন জেলবন্দি উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বিচারাধীন বন্দি ছিল। [পুরুষ যৌনকর্মীতে ভরে গিয়েছে গোয়ার জেলখানা]
এছাড়া মারা যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ৪৪ জন আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ২৪ জন পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছে অথবা লকআপের ভিতরে তাদের খুন করার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা। [মোবাইল ব্যবহারে দেশের ফার্স্ট বয় কলকাতার জেলবন্দিরাই]
অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের জেলে এতজন বন্দি বয়সজনিত কারণে অথবা স্বাভাবিক কারণে মারা গিয়েছে এমনটা আদৌও সত্য নয়। বলা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের জেলের ভিতরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। জেলের ভিতরে চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল শোচনীয়, চারিদিকে শুধু অব্যবস্থার ছবি। [সুতো দিয়ে লোহার গারদ কেটে পালাল আসামি!]
জেলবন্দিদের বিষয়ে কোনও খেয়াল রাখেন না জেলকর্তারা বা সরকার। জেলের ভিতরের এমনই ভয়ঙ্কর পরিবেশ যে অনেকেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। বন্দিদের রক্ষার দায়িত্ব জেলকর্তৃপক্ষেরই। তবে তা সত্ত্বেও জেলের ভিতরেই খুন বা অস্বাভাবিক খুনের ঘটনা ঘটছে।
যত দিন যাচ্ছে ততই উত্তরপ্রদেশের জেলের ভিতরে বন্দি মৃত্যুর সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে। তবে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের আইজি জিএল মীনার বক্তব্য, বন্দিদের জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বয়স বা অসুস্থতার কারণে মৃত্যু খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
তাঁর মতে, গত কয়েকবছরে বন্দির সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ফলে এমন ঘটনা ঘটছে। তবে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বদলাবে কি? প্রশ্ন তুলছেন মানবাধিকার কর্মীরাই।