সিনিয়র অফিসাররা হেনস্থা করে, মোদীর কাছে অভিযোগ জানাতে এবার ফেসবুক পোস্ট পুলিশের
ভারতীয় সেনা-জওয়ানের পর এবার উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মীও অভিযোগ জানাতে সোস্যাল মিডিয়াকেই অস্ত্র করলেন।
লখনউ, ১৬ জানুয়ারি : ভারতীয় সেনা-জওয়ানের পর এবার উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মীও অভিযোগ জানাতে সোস্যাল মিডিয়াকেই অস্ত্র করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সিনিয়র অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই ফেসবুকে ভিডিও বার্তা ছাড়লেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কনস্টেবল।[কাশ্মীরে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মাঝেই সেনা এনকাউন্টারে খতম তিন জঙ্গি]
মথুরার কনস্টেবল সর্বেশ চৌধুরি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ইটা পুলিশ লাইনে কর্তব্যরত। ইটা জেলা পুলিশ প্রধান রাজেশ কৃষ্ণ সর্বেশের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।[অর্ধেক দামে রেশনের সামগ্রী বেচে দেন বিএসএফের ক্যাম্প অফিসাররা!, অভিযোগ এক সেনারই]
ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, সর্বেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সম্বোধন করে নিজের অভিযোগ জানিয়েছেন। ২০১১ সালের ব্যাচের পুলিশকর্মী বলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন নিজেই।[মদ্যপ হলে কেন জওয়ান তেজ বাহাদুরকে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়োগ? উঠছে প্রশ্ন]
ভিডিওতে তিনি বলেন, ৮০ শতাংশ পুলিশকর্মীরই স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল না, অথচ তাদের চব্বিশ ঘন্টাই কাজ করতে হয়। তিনি বলেন, ব্রিটিশ জমানার পুলিশ আইন ১৮৬১-কে কালা আইন বলে ব্যাখ্যা করেন সর্বেশ। আগে ব্রিটিশরা আর এখন আধিকারিকরা পুলিশকে হেনস্থা করার জন্যই এই আইনের ব্যবহার করেন বলে মন্তব্য করেন সর্বেশ। ২০১১ সালে পুলিশে যোগ দেওয়ার পর থেকে বারবার তার সাসপেনশন এবং ট্রান্সফার নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সর্বেশ।["একটা পোড়া রুটি, এক গ্লাস চা, ক্যাম্পে খাবার এমনটাই", বিএসএফ জওয়ানের অভিযোগের ভিডিও ভাইরাল]
সর্বেশের কথায়,"এখনও পর্যন্ত আমাকে ৫ বার স্থানান্তরিত করা হয়েছে, এবং কোনও কারণ ছাড়াই তিনবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমি ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে চাইনি বলে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে, আমাকে সাসপেন্ড করা হল অযথা।"
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই বিএসএফ জওয়ান নিম্নমানের খাবাপ নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে। যা নিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। এরপর সেনাকর্মীর ভিডিও ইউটিউবে আস। সর্বেশের ভিডিও বার্তা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল।