পণের খাঁই, স্ত্রীয়ের যৌনাঙ্গে অ্যাসিড, মুখে কেরোসিন ঢালল স্বামী
২০০৬ সালে কল্যাণ আহিরওয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই বছর কুড়ির ওই যুবতীর। বিয়ের সময় টাকা, সোনাদানা, মোটর সাইকেল ইত্যাদি দেওয়া হয়েছিল। তার পরও অতিরিক্ত টাকার দাবি করে বধূটিকে মারধর করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০০৯ সালে মেয়ের বাড়ির তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিছুদিন জেলও খাটে কল্যাণ আহিরওয়ার। ২০১০ সালের মাঝামাঝি ওই বধূর বাপের বাড়ি মামলা তুলে নেয়। 'গুণধর' স্বামীটি কথা দিয়েছিল, আর এমন করবে না।
অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে ফের টাকার দাবি চরমে ওঠে। কল্যাণ আহিরওয়ার বেল্ট দিয়ে পেটাত বউকে। শ্বশুর-শাশুড়ি তাতে মদত দিত। গতকাল রাতে মদ খেয়ে এসে যথারীতি মারধর শুরু করে। বাবার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বলা হয় ওই বধূটিকে। তিনি অস্বীকার করলে জোর করে মাটিতে শুইয়ে দেয় স্বামী। অভিযোগ, কল্যাণ আহিরওয়ারের দুই বন্ধুও তখন ছিল ঘটনাস্থলে। তার মহিলার হাত চেপে ধরে। শ্বশুর-শাশুড়ি পা বেঁধে দেয় চৌকির পায়ার সঙ্গে। আর স্বামী এক বোতল অ্যাসিড এনে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ঢেলে দেয়। তীব্র যন্ত্রণায় যখন তিনি ছটফট করে জল চাইছেন, তখন জোর করে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয় মুখে। অত্যাচারে তিনি জ্ঞান হারান। অভিযুক্তদের ধারণা হয়, প্রাণ বেরিয়ে গিয়েছে। তখন তাঁর বাবা-মাকে ফোন করে বলা হয়, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রাতেই বধূটির বাবা-মা ছুটে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখেন, প্রাণ অবশিষ্ট রয়েছে। ভোরের দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে সব ঘটনা বলেন। খবর যায় পুলিশে। ওই বধূর বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, হাওয়া খারাপ বুঝে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গুনা জেলার পুলিশ সুপার জানান, আশপাশের সব থানায় খবর পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তরা খুব শীঘ্র ধরা পড়বে। ওই বধূ এখন বিপন্মুক্ত হলেও তাঁর যৌনাঙ্গ, ঊরু ও তলপেট খুব বাজেভাবে পুড়ে গিয়েছে। ক্ষত সারবে কয়েক মাস সময় লাগবে।