নিষিদ্ধপল্লির নরক যন্ত্রণার বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি, আর কী লিখলেন নির্যাতিতা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে নরক যন্ত্রণার বর্ণনা করলেন সদ্য নিষিদ্ধপল্লি থেকে মুক্তি পাওয়া এক মহিলা, তাঁর মতই বাকি অসহায় মেয়েদের উদ্ধার করার আর্জি ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে তাঁর ওপর হওয়া নারকীয় অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন সদ্য নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার হওয়া এক মহিলা। তবে নিজের জন্য নয়, তাঁর এই চিঠি দেশজুড়ে নিষিদ্ধপল্লিতে আটকে থাকা হাজার হাজার মেয়েদের বাড়ি ফেরানোর উদ্দেশ্যে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাখি পরাতে গিয়ে এই চিঠিও তাঁর কাছে তুলে দিলেন মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর।
দুপাতার ওই চিঠিতে ওই মহিলা জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁকে মুম্বইয়ের একটি নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করা হয়। এরপরের ৬ বছর তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের থেকেও ভয়ঙ্কর। কোন নরক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে। তিনি লিখেছেন, 'প্রতিদিন আমাকে মারধর করা হত, পশুর থেকেও খারাপ ব্যবহার করা হত। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার সব আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। একটা সময় মনে হত, আমি হয়ত এখানেই মরে যাব। কিন্তু একদিন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও মুম্বই পুলিশ আমাকে ওই অন্ধকার থেকে বের করে। তখন মনে হয়েছিল, আমার যেন পুনর্জন্ম হয়েছে। আমি এখন একটি জামাকাপড়ের দোকানে কাজ করি। '
এখানেই থেমে থাকেননি ওই নির্যাতিতা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ, এরকমই নরক যন্ত্রণায় জীবন কাটাচ্ছেন আরও হাজারো অসহায় মেয়ে। নিজের বোন মনে করেই প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁদেরও উদ্ধার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর জানিয়েছেন, এই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
[আরও পড়ুন: ২০২২ সালের মধ্যেই নয়া ভারত গড়ার ডাক প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কেমন হবে সেই ভারত]