কীভাবে গোপনে প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার করত পাক চরেরা, সূত্র পেলেন গোয়েন্দারা
পুলিশের মতে, বিএসএফের কোনও ব্যক্তি এই চরবৃত্তিতে জড়িত না থাকলে এত সহজে গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারতো না পাক চরেরা। বিএসএফের কেউ তথ্য পাচারে রয়েছে তা একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা।
নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর : বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির পাক দূতাবাস থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা পাক চর মেহমুদ আখতারকে ছেড়ে দিতে হয়েছে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকার কারণে। তবে ২দিনের মধ্যে তাকে ভারত ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে এই মেহমুদকে জেরা করে একেরপর এক চরবৃত্তি সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য বের করতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি যেমন ফাঁস করা হচ্ছিল, তেমনই সীমান্তে কোথায় কোথায় বিএসএফ জওয়ানদের পোস্টিং চলছিল সেই সংক্রান্ত অতি গোপন তথ্যও নিমেষে পৌঁছে যাচ্ছিল পাকিস্তানি চরদের হাতে।
মেহমুদ আখতার পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইএসের চরবৃত্তিতে কিংপিন হিসাবে কাজ করছিল। সে পাকিস্তানি সেনার সদস্য ও বালোচ রেজিমেন্টে হাবিলদারের কাজ করেছে। মেহমুদের সঙ্গে পাকিস্তানের এই চরবৃত্তিতে আরও অনেকে লোক শামিল বলেই দাবি গোয়েন্দাদের।
দিল্লি পুলিশের মতে, বিএসএফের কোনও ব্যক্তি এই চরবৃত্তিতে জড়িত না থাকলে এত সহজে গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারতো না পাক চরেরা। বিএসএফের কেউ তথ্য পাচারে রয়েছে তা একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা।
মেহমুদ আখতার জেরায় গোয়েন্দাদের যেসব তথ্য দিয়েছে, তাতে গোয়েন্দারা মনে করছেন, চরবৃত্তির কাজ সম্পন্ন করতে শুধু টাকা ছাড়াও হানিট্র্যাপের ব্যবহার করত তারা। এছাড়া মোবাইলে যে কথা মেহমুদ ও তার সঙ্গীরা বলত তাতে তারা কোড ব্যবহার করত। সেইসব কথা গত ছয়মাস ধরে ট্র্যাক করেছেন গোয়েন্দারা।
সেই সূত্রেই গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে নয়া তথ্য। তারা জেনেছেন, গোপন কোনও কথা বলতে হলে মেহমুদ ও তার সঙ্গীরা হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল রেকর্ড করে কথা বলত। মোবাইলে কল রেকর্ড ট্র্যাক করা গেলেও হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল ট্র্যাক করা যায় না। তাই সেইসময়ে তারা কি কথা বলেছে সেটাই এখন জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল যে ২৬ অক্টোবর মেহমুদ আখতার সুভাষ জাঙ্গীর ও মৌলানা রমজানের সঙ্গে দিল্লি চিড়িয়াখানার দেখা করবে। সেইমতো তিনজনকে ট্র্যাপ করে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা।