ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে কালো টাকা সবচেয়ে সহজে এভাবেই সাদা করা হচ্ছে!
সারা দেশে কালো টাকার কারবারিরা নানা অসৎ উপায় অবলম্বন করে কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস চালাচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উপায় হল ডিমান্ড ড্রাফ্ট।
বেঙ্গালুরু, ১৮ ডিসেম্বর : নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরই কেন্দ্র সরকার কালো টাকা মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছে। তারপরই সারা দেশে নতুন ও পুরনো বেআইনি নোট বাজেয়াপ্ত করতে তল্লাশি চলছে আয়কর দফতরের। সঙ্গে রয়েছেন ইডি ও সিবিআই কর্তারা। সারা দেশে কয়েকশো কোটি বেআইনি টাকা উদ্ধারও হয়েছে।
সারা দেশে কালো টাকার কারবারিরা নানা অসৎ উপায় অবলম্বন করে কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস চালাচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উপায় হল ডিমান্ড ড্রাফ্ট।
বেঙ্গালুরুতে বাসবনগুড়িতে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার একটি শাখা সম্প্রতি সিবিআইয়ের নজরে এসেছে। সেখানে এস গোপাল নামে ওঙ্কার পরিমল মন্দির কোম্পানির মালিক ১৪৯টি ডিমান্ড ড্রাফ্ট করিয়েছেন যার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, সাধারণভাবে পুরনো নোটে ব্যাঙ্কে হাজার হাজার টাকার নোট জমা দিয়ে পরে ড্রাফ্ট বাতিল করে নতুন নোটে টাকা নেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল সারা দেশে। এভাব পুরনো নোটে কালো টাকা জমা দিয়ে পরে তা সাদা করে নেওয়া হচ্ছিল।
এভাবেই বাসবনগুড়িতে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে গত ১৫-১৮ নভেম্বরের মধ্যে বাজাজ ফিনান্সের নামে পুরনো নোটে ডিমান্ট ড্রাফ্ট কাটা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই তা বাতিল করে পুরো টাকা নগদে তুলে নেওয়া হয়। এবং ব্যাঙ্ক থেকে তা নতুন নোটে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
যদিও ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে যে এই ধরনের ঘটনা বেআইনি। কখনও নগদ টাকায় ডিমান্ড ড্রাফ্ট কাটা যায় না। কাটতে হলে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টধারীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়।
এই ঘটনা সামনে আসার পরই সিবিআই অভিযুক্ত এস গোপাল ও তার ছেলে সুকনু ও ব্যাঙ্কের ম্যানেজার লক্ষ্মী নারায়ণকে গ্রেফতার করেছে। নারায়ণের মদত ছাড়া একাজ হতে পারত না, এমনটাই মনে করছে সিবিআই।