দুর্ঘটনার দিন সলমন খান মাতাল ছিলেন কিনা তা নিয়ে দ্বিমত!
সলমন খানে 'হিট অ্যান্ড রান' মামলায় এল নয়া মোড়। যেদিন গাড়ির ধাক্কায় ফুটপাথবাসীকে পিষে দিয়েছিলেন অভিনেতা সলমন খান, সেদিন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। দুর্ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ডাক্তার শশীকান্ত পাওয়ার এই বিবৃতিই দিয়েছেন। ডাঃ পাওয়ার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন সলমনের চলেফেরা স্বাভাবিক ছিল, কথার উচ্চারণও ছিল স্পষ্ট, তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসেও লক্ষনীয়ভাবে মদের গন্ধ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : দুর্ঘটনার দিন মদে চুর ছিলেন সলমন, বাড়ল বিপদ
যদিও ২০০২ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার ১২ ঘন্টার পর যে চিকিৎসক সলমনের শ্বাসের পরীক্ষা করেছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন, সলমনের মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরচ্ছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ আদালতকে জানিয়েছিল, রক্তে অ্যালকোহলের অনুমোদিত মাত্রা হল ৩০ মিলিগ্রাম। কিন্তু সলমন খানের রক্তে ৬২ মিলিগ্রাম অ্যালকোহল মিলেছে। তিনি মদে চুর ছিলেন।
অন্যদিকে, সলমনের উকিল শ্রীকান্ত সিবাড়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সাক্ষীর বয়ান নিয়ে যে মামলার কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছিল তাতে মদের উল্লেখ ছিল না, অথচ পুলিশের নথিতে মদে শব্দটি পাওয়া গিয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় ভুয়ো তথ্যপ্রমাণ তৈরি করা হয়েছিল।
২০০২ সালে বান্দ্রা পশ্চিমের হিল রোডে রাতের অন্ধকারে ফুটপাথে শুয়ে থাকা একজনকে গাড়ির তলায় পিষে দেন এই বলিউড অভিনেতা। আরও চারজন গুরুতর জখম হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি গাড়ি নিয়ে উঠে পড়েন ফুটপাথের ওপর। তার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।
তবে, এই মামলায় সলমনের মদ্যপ থাকা না থাকা নিয়ে দুটি মত আদালতের সামনে এসেছে। ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এদিন ডাঃ পাওয়ারের বয়ানে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন সলমন।