দিল্লি ছেড়ে চলে গেলেও গুরমেহরকে নিয়ে অব্যাহত বাদানুবাদের পালা
পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে তাঁকে একা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান শহিদকন্যা গুরমেহর কওর। তারপরও তাঁকে নিয়ে অব্যহত রাজনৈতিক বাদানুবাদ।
নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি : রামজশ কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে কিছুদিন আগেই শহিদ কন্যা গুরমেহর কওর একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। যা নিয়ে বিতর্কে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এরপর পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে তাঁকে একা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান গুরমেহর। তারপরও তাঁকে নিয়ে অব্যহত রাজনৈতিক বাদানুবাদ। এদিকে সোস্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরে এবিভিপির তরফে ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি পেয়ে গুরমেহর নয়াদিল্লি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে খবর।[কার্গিল শহিদ-কন্যার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তাল ফেসবুক, রং লাগল রাজনীতিরও!]
গুরমেহরের সমর্থনে আজ সুর চড়া করেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গুরমেহরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ও ফেসবুকে গুরমেহরকে নিয়ে কৌতূক করার জন্য বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে একহাত নেন। গুরমেহরের বিষয়টি নিয়ে তিনি নয়াদিল্লির লেফটন্যান্ট গর্ভনরের সঙ্গে দেখা করার কথাও জানান।[রামজশ কলেজে হিংসা: আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন গুরমেহর]
এদিকে গুরমেহরকে নিয়ে গতকালই নেতিবাচক মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি মন্তব্য করে, 'কেউ গুরমেহরের মনকে কলুষিত করছে' বলে। তারপর আজ গুরমেহর নিজেকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নেওয়াতে নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান রিজিজু। তিনি বলেন , গুরমেহর স্বাধীনভাবে মনের কথা বলতেই পারেন। নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করতেই পারেন। তাঁকে একা ছেড়ে দেওয়া হোক।
এদিকে রিজিজুর গতকালের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন সঙ্গীতকার জাভেদ আখতার। তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় জানান, গুরমেহরের মাথায় কে বিষ ঢালছে তিনি বলতে পারবেন না, তবে মন্ত্রী মশাইয়ের মাথায় কে বিষ ঢালছে তা তিনি বুঝেছেন।
গুরমেহরকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া কৌতূক করেছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা রণদীপ হুদা, ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। যদিও তারপর আর গুরমেহর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাননি সেহওয়াগ। এদিকে বিতর্কের জেরে গুরমেহরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তাঁর দাদু কওয়ালজিৎ সিং।
প্রসঙ্গত এই বিতর্ক শুরু হয় গুরমেহরের ফেসবুক পোস্ট থেকে। যেখানে কলেজ ক্যাম্পেসে হিংসার প্রতিবাদ জানিয়ে, একটি ছবি পোস্ট করে গুরমেহর জানান,তিনি কার্গিল শহিদের মেয়ে। গুরমেহর কওর আরও জানান তাঁর বাবা পাকিস্তানের হাতে নয়, 'যুদ্ধে' শহিদ হয়েছেন। এরপরই গোটা পোস্ট ঘিরে সোস্যাল মিডিয়ায় বাদ-প্রতিবাদের ঝড়।
I don't about her but Mr Minister I know who is polluting your mind .
— Javed Akhtar (@Javedakhtarjadu) February 28, 2017