হাসপাতালে লোডশেডিং, মোবাইলের আলোয় গুরুগ্রামে জন্ম নিল সদ্যজাত
গুরুগ্রাম, ৬ অক্টোবর : প্রসব যন্ত্রণায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন এক মহিলা। বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরের ব্যাক আপ নেই। তবে এর মধ্যেই একেবারে বলিউডি সিনেমা থ্রি ইডিয়টসের দৃশ্যের মতো চিকিৎসক ছাড়াই শিশুর জন্ম দিলেন কয়েকজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নার্স ও হাসপাতাল কর্মীরা। [স্কুলের বাথরুমে সন্তান প্রসব ১৩ বছরের কিশোরীর]
গুরুগ্রামের অন্ধকার সরকারি হাসপাতালে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলোয় শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘটনা ঘটানো সহজ ছিল না। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলুন অথবা অন্যকিছু, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ রয়েছে। ['ত্বকবিহীন' শিশু জন্ম নিল নাগপুরে]
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই লোডশেডিং নিয়ে বিক্ষোভ যেন স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি অপদার্থতায় সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারছে না সরকার। এমনই অভিযোগ তুলছেন অনেকে। [নারী-পুরুষ একে অপরকে ছাড়াই জন্ম দিতে পারবে সন্তানের!]
এবার আসা যাক শিশুর প্রসঙ্গে। কপিল কুমার নামে সদ্য পিতৃত্বের স্বাদ পাওয়া যুবক জানাচ্ছেন, সন্ধেবেলায় আমার স্ত্রী কবিতা মোমবাতির আলোয় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছিল। গোটা হাসপাতাল অন্ধকার ছিল। এরপরই কবিতার প্রসব বেদনা শুরু হয়, এবং তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। [খেলতে খেলতে সন্তান প্রসব কিশোরী ভলিবল খেলোয়াড়ের]
মাঝরাতে কবিতার প্রসব বেদনা উঠলে কর্তব্যরত নার্সকে জানান কপিল। সেইসময়ে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। মোমবাতির আলোয় নার্সরা ধরে কবিতাকে অপারেশন রুমে নিয়ে যান।
কপিলের কথায়, বহুক্ষণ লোডশেডিং থাকায় অপারেশন রুমের লাইটও জ্বলছিল না। ফলে নার্স ও দাইমারা মোমবাতির পাশাপাশি মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে বাচ্চার জন্ম দেন।
কবিতাকে গত সোমবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। এর আগে তিনটি মেয়ে রয়েছে কবিতা ও কপিলের। ঘরে প্রথম ছেলে এল। এবং তাও আবার এত অন্যরকমভাবে। গোটা ঘটনাই যেন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না দম্পতি। তবে কর্তব্যপরায়ণ নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তাঁরা।