যৌন 'ফ্যান্টাসি' লিখে পরীক্ষার খাতা ভরাল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, কী লিখল জেনে নিন
গুজরাতের এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র পরীক্ষার খাতায় পর্নোগ্রাফিক লেখা লিখেছে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রশ্ন বুঝতে না পেরে অনেকে অন্য উত্তর লিখে আসে। অনেকে আবার মজা করে নিজের মনের কথা লিখে আসে পরীক্ষার খাতায়। স্কুলের পরীক্ষা, বোর্ডের পরীক্ষায় এমন অনেক খাতাই পরীক্ষকদের হাতে পড়ে। বেশিরভাগই এড়িয়ে যাওয়া হয়। তবে আমেদাবাদের আনন্দ জেলার বোরসাদের এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র যা করেছে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বরং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার খাতায় ঠিক কী লিখেছে ছাত্রটি? খাতায় পর্নোগ্রাফিক লেখা লিখেছে সে। প্রতিটি লাইনে যৌন লালসার কথা লেখা রয়েছে। যৌনতা নিজে কিশোর মনের সমস্ত কল্পনাকে ছাত্রটি উজার করে লিখেছে পরীক্ষার খাতায়। সেখানে নিজের বৌদির সঙ্গে যৌন লালসার ইচ্ছে, এক অভিনেত্রী সঙ্গে সঙ্গমের ইচ্ছে, এমনকী বাড়ির পরিচারিকাকে নিয়ে নিজের যৌন বাসনার কথা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রটি রসায়নের পরীক্ষার খাতায় লিখে এসেছে।
যে মহিলা পরীক্ষক খাতা দেখেছেন, তিনি খাতা দেখে রীতিমতো বিস্মিত। খাতা নিয়ে তিনি কোঅর্ডিনেটরের কাছে অভিযোগ করেন। তারপরই সিদ্ধান্ত হয় বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
ছাত্রটি পরীক্ষার খাতায় যা লিখেছে সেটাকে হাতিয়ার করে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্রটিকে ডেকে পাঠানো হলেও সে হাজির হয়নি। ফলে তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এবং আগামী একবছর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গুজরাত বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর ধরে উত্তর দিয়েছে ছাত্রটি। তবে আসল উত্তরের বদলে যৌনতায় ভরপুর মনের সুপ্ত ইচ্ছের কথাই সে লিখে গিয়েছে। এই খাতা দেখে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে রসায়নে শূন্য দেওয়া হয়েছে। এমনকী বাকী বিষয়গুলিতেও তাকে ফেল করানো হয়েছে।
বোর্ডের সভাপতি এজে শাহ জানিয়েছেন, বিকৃত মানসিকতা থেকেই একাজ করেছে ছাত্রটি। ফলে তার অভিভাবককে ডেকে খাতা দেখানো হবে। যাতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ছেলেটির কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।