বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়ছে লালু-মুলায়মের পরিবার
কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দল মিশে গিয়ে নতুন রাজনীতিক দল তৈরি হবে। যদিও এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি দু'জনের কেউ। কিন্তু দুই পরিবারে বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বিয়ের পরপরই হয়তো দুই দল ঐক্যবদ্ধ হবে।
মুলায়ম সিং যাদবের ভাইপোর ছেলে তেজপ্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট মেয়ে রাজলক্ষ্মীর বিয়ে হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হবে বাগদান। তেজপ্রতাপ সিং বর্তমানে মৈনপুরীর সাংসদ। এই আসনটি মুলায়ম সিং যাদব ছেড়ে দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।
জয়প্রকাশ নারায়ণের দুই শিষ্য লালু-মুলায়ম একদা গলায় গলায় বন্ধু ছিলেন। গত শতাব্দীর নয়ের দশকের গোড়ায় দু'জনের সম্পর্কে চিড় ধরে। অবস্থা এতটা খারাপ হয় যে, ১৯৯৭ সালে এই লালুপ্রসাদের বিরোধিতার ফলেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি মুলায়ম সিং যাদব। কংগ্রেস তখন মিলিজুলি সরকারকে সমর্থন করছিল। তারা এইচ ডি দেবেগৌড়াকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসে মুলায়ম সিং যাদবের নাম। কিন্তু লালুপ্রসাদের প্রবল বিরোধিতায় প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব হয়নি মুলায়মের। ইন্দ্রকুমার গুজরালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে। পরে ঘনিষ্ঠ মহলে লালুকে নিয়ে অসন্তোষ গোপন রাখেননি মুলায়ম।
এতদিন পর বিরোধ ধামাচাপা দিয়ে দু'জনে আবার কাছাকাছি এসেছেন। বৈবাহিক সম্পর্কই তার প্রমাণ।