স্কুলের ভিতরে বসেই দলবল নিয়ে মদ্যপান প্রধান শিক্ষকের, তারপর পেলেন উচিত শিক্ষা
বিহারের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক যে কাণ্ড করেছেন তাতে শিক্ষক সমাজ লজ্জার মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না।
স্বাধীনতা দিবসের দিন অসমের ধুবরি জেলার বন্যা পীড়িত স্কুলে জলে ভাসতে ভাসতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন এক শিক্ষক। সেই ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছে। আর সেদিনই বিহারের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক যে কাণ্ড করেছেন তাতে শিক্ষক সমাজ লজ্জার মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না।
শিক্ষক বা গুরুকে বাবা-মায়ের পরের আসনে বসানো হয়। তবে সেই শিক্ষকই যখন অশিক্ষিতের মতো আচরণ করেন, তখন ছাত্ররা তার কাছ থেকে কতদূর শিক্ষাই বা পেতে পারে। বিহারের বক্সার জেলার এই শিক্ষক সেরকম গর্হিত কাজই করেছেন। নিজের স্কুলের চেম্বারে বসে দলবল নিয়ে মদ্যপান করেছেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা সামনে আসার পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালতও। বক্সারের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কুকুধা গ্রামের এনজে হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল আরবি দুবে ও সঙ্গে বিনয় দুবে, বৈভব মিশ্রকে গ্রেফতার করে। এরা দুজনে আবার কৈথনা হাই স্কুলের শিক্ষক।
পুলিশ জানিয়েছে, মেডিক্যাল টেস্টে দেখা গিয়েছে, তিনজনেই মদ্যপান করেছেন। কারণ তাদের রক্তে অ্যালকোহলের নমুনা মিলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদ কেনা-বেচা ও পান করা নিষিদ্ধ করেছে নীতীশ কুমারের সরকার। ধরা পড়লে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। আর এই শিক্ষক তো স্কুলের ভিতরে বসে মদ খেয়েছেন। ফলে এখন ঠ্যালা সামলাতেই হবে।