উত্তর প্রদেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নতুন তত্ত্ব রাজ্যসরকারের, সাসপেন্ড হাসপাতালের প্রিন্সিপাল
উত্তরপ্রদেশের সরকারি হাসপাতাল, বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজ গত ৫ দিনে ৬৩ টি শিশু মৃত্যু ঘিরে স্বজনদের হাহাকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে। এরই মধ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের প্
উত্তরপ্রদেশের সরকারি হাসপাতাল, বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজ গত ৫ দিনে ৬৩ টি শিশু মৃত্যু ঘিরে স্বজনদের হাহাকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে। এরই মধ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এদিকে, যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে নয়, শিশু মৃত্যুর কারণ এনসেফালাইটিস, যকৃতে সংক্রমণ ও সমস্যা। সেরাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং একথা জানিয়েছেন। সিদ্ধার্থ নাথের সুরে সর মিলিয়ে একই কথা বলছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশপাশি রাজ্যের দুজন মন্ত্রীই হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতাকে দায়ী করেছেন শিশু মৃত্যুর জন্য।
যদিও, পরে , রাজ্য়সরকারের তরফে শিশু মৃত্যু ঘিরে সচিব পর্যায়ের একটি তদন্ত করার ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানিয়েছেন, সন্ধ্যে ৭:৩০ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। এবং সাড়ে আগারোটা থেকে ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ একেবারেই ফুরিয়ে যায় , হাতপাতালের অক্সিজেন সংযোগ। প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, ৭:৩০ মিনিট থেক ১০: ০৫ মিনিটের মধ্যে ৭টি শিশু মারা গিয়েছে। যখন অক্সিজেনের কমতি ছিল, কিন্তু অক্সিজেন হাসপাতাল থেকে তখন ফুরিয়ে যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে জানা যায় যে সংস্থা হাসপাতালে অক্সিজেন সাপ্লাই করে তাদের বকেয়া জমে গিয়েছিল বহু লক্ষ টাকার বেশি। সংস্থা যে আর বেশিদিন অক্সিজেন সিলিন্ডার সাপ্লাই করবে না তা মুখ্য মেডিক্যাল অফিসারকে চিঠি লিখে জানান হাসপাতালের স্টোরের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। জানানো হয়, স্টক প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তারপরই এই শিশু মৃত্যর মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন।