আজ 'বিতর্কিত' জমি অধিগ্রহণ বিল ঘিরে তোলপাড় সংসদ
নয়াদিল্লি, ২০ এপ্রিল : আজ, সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্সের প্রতিলিপি পেশ করে সরকার। আর তা ঘিরেই উত্তাল হল সংসদ। বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে।
কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, কৃষক ও বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার পিছনের দরজা দিয়ে এই আইন প্রণয়ন করতে চাইছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল এই বিলের বিরোধিতা করছিল, করছে, আগামী দিনেও করবে।
আজ 'বিতর্কিত' জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে সংসদ তোলপাড় হওয়ার আশঙ্কা
নয়াদিল্লি, ২০ এপ্রিল : আজ থেকে শুরু সংসদের দ্বিতীয় দফার অধিবেশন। আর এই অধিবেশনই ফের একবার কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।
বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স আজ লোকসভায় পেশ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। যা নিয়ে সংসদ অচল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভা করে সরকারের জমি বিলের কঠোর সমালোচনা করেছেন সোনিয়া-রাহুল সহ একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সুর যে তাঁরা এদিনের সংসদের অধিবেশনেও অটুট রাখবেন তা তাঁদের শরীরী ভাষা দেখেই কাল ঠাওর করা গিয়েছে।
অন্যদিকে সংযুক্ত জনতা দলের তরফে লালু প্রসাদ যাদবও কেন্দ্রের জমি নীতির বিরোধিতা করে কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়েছেন। এর সঙ্গে সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধীরা তো আগেই সুর চড়িয়ে রেখেছে এর বিরুদ্ধে। ফলে সব মিলিয়ে সংসদে আজ কড়া চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিভিন্ন বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলিকে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক করে বিরোধী দলের বক্তব্য শোনা ও সংসদে তা আলোচনার কথাও জানিয়েছেন। এছাড়া মেরুকরণের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে বলে সংঘ পরিবারকে বার্তাও দিয়েছেন। এদিনও সকালে টুইট করে কার্যকর সংসদীয় অধিবেশন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
গত ডিসেম্বরে জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স জারির পর তাতে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে ফের এই মাসের ৩ এপ্রিল তা জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মোট ৯ টি সংশোধনী আনা হয়েছে অর্ডিন্যান্সে।
কেন্দ্র চলতি অধিবেশনেই এটি পাশ করাতে চাইছে। এর আগে আনা সংশোধনীতে বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ করা হলে বাজারদরের চেয়ে চারগুণ বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কোনও জমির দাম বাজারদর অনুযায়ী এক লক্ষ টাকা হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে চার লক্ষ টাকা। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এর ফলে আটকে থাকা ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প খুব সহজে বাস্তবায়িত হবে।
তবে বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রের এই আইন কৃষকবিরোধী। ফলে সবরকম শক্তি দিয়ে এই বিল পাশ আটকানোর চেষ্টা হবে। আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ৮ মে পর্যন্ত অধিবেশন চলবে। এর মধ্যে বিতর্কিত জমি বিল সরকার পাশ করাতে পারে কিনা এখন এটাই দেখার।