সাবধান! আগামী বছরেই দ্বিগুণ বাড়তে পারে রেলের ভাড়া
এতদিন ধরে জনমোহিনী নীতির বলি হয়েছে রেল। পরিষেবার বদলে মূল্য দিতেই হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির এহেন মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর : এতদিন ধরে জনমোহিনী নীতির বলি হয়েছে রেল। পরিষেবার বদলে মূল্য দিতেই হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির এহেন মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রেলের পাহাড়প্রতিম লোকশানের ভার লাঘব করতে এবার রেলের ভাড়া দ্বিগুন করার পথে এগোতে পারে কেন্দ্র।[স্মার্ট নাইবা হোক, সাধারণ ফোনেও এবার কাটা যাবে রেলের টিকিট]
ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রথম মিলিত সাধারণ ও রেল বাজেট পেশ করার আগে এদিন ইঙ্গিত দিলেন জেটলি।
জেটলি এদিন বলেন, "বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালানোর প্রাথমিক শর্তই হল পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের মূল্য দিতেই হবে। এতদিন কাজের বদলে জনমোহিনী নীতিতে জোর দেওয়ার ফলে তার ফল ভুগতে হচ্ছে রেলকে।"[যাত্রীদের স্টেশনে নিয়ে যাতায়াত করবে, রেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে উবার]
রেল মন্ত্রক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে যাত্রী ভাড়া ভরতুকির জেরে বাৎসরিক ৩৩,০০০ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অর্থাৎ, রেলযাত্রীর পিছনে খরচ হওয়া প্রতি ১০০ টাকায় রেল গ্রাহকের থেকে ৫৭ টাকা পাচ্ছে, বাকি ৪৩ টাকাই সরকারের ভরতুকি।[ভারতীয় রেলওয়ের সম্পর্কে এই তথ্যগুলি আপনি জানেন কি?]
যদি বাজেটে ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে এই লোকসানের পরিমাণ কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব হবে।
রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একাংশের কথায়, রেলের যে পরিমাণ লোকসান হচ্ছে তার স্বাস্থ্যোদ্ধার করতে হলে কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু এতদিন অর্থ মন্ত্রকের তরফে কোনও সহযোগিতা আসেছিন।[পাটনা স্টেশনে ফ্রি 'ওয়াই-ফাই', চুটিয়ে চলছে পর্ন দেখা]
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই প্য়াসেঞ্জার ট্রেন ও মালবাহী রেলগাড়ির ভাড়া বিষয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গড়বে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের অনুমান রেলের ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ালেও পুরো লোকসান পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। তবে রেলের লোকসান কমাতে রেলের ভাড়া একধাক্কায় দ্বিগুণ করা হলে তা সাধারণ মানুষের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করবে তা বলাই বাহুল্য।