৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল: ঝামেলা এড়াতে কী করণীয় সাধারণ মানুষের?
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকার তো নিজের কাজ করেছে, এবার আমাদের পালা। হুড়োহুড়ি করবেন না, মানুষকে সচেতন করুন।
নয়াদিল্লি, ৯ নভেম্বর : জালিয়াতি ও কালো টাকার দুর্নীতি রুখতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন প্রশ্ন হল এক্ষেত্রে সরকার তো নিজের কাজ করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থাৎ আম জনতার কি করণীয়।
১. সবার প্রথমে তাড়াহুড়ো না করে বিষয়টা ভাল করে বুঝতে হবে এবং অন্যদের বোঝাতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য না ছড়িয়ে এবিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানার চেষ্টা করুন।
২. আপনার কাছে থাকা ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েনি। ব্যাঙ্কে এই নোট দিয়ে আপনি তার পরিবর্তে নতুন সচল নোট পেতে পারেন। তাই পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ভেবে তা ফেলে বা নষ্ট করে দেবেন না কিংবা এমন কিছু করবেন না য়াতে পরে আপনাকে পশ্চাতে হয়।
৩. পুরনো টাকার পরিবর্তে নতুন টাকা ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার হাতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। হুড়মুড়িয়ে সবাই একসঙ্গে ব্যাঙ্কে গেলে বা সেখান গিয়ে হইচই শুরু করলে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ক্ষেত্রেও কাজ করা মুশকিল হবে। তাই হাতে সময় নিয়ে ২-৩দিন পরে ব্যাঙ্কে যান। যত শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ হবে তত তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।
৪. জরুরি কোনও লেনদেনের জন্য নেটব্যাঙ্কিং এবং ডেবিট কার্ডের ব্যবহার করুন।
৫. যত বেশি সম্ভব মানুষকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করুন। বিশেষ করে আপনার পরিচারিকা, নিরাপত্তারক্ষী, গাড়ির চালক, স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিদের এই বিষয়ে যতটা সম্ভব স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
হঠকারিতা না করে দু-তিন দিন যদি ধৈর্য্যের সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় তাহলেই একধাক্কায় অনেকটা ঝামেলাই এড়ানো সম্ভব হবে।