শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রী হতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে শামিল তামিলনাড়ুর রাজ্যপালও!
তিনদিনের বেশি হয়ে গেল এআইএডিএমকের প্রধানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন শশীকলা। এতদিনেও রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের সময় হল না চেন্নাইয়ে উপস্থিত থেকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করানোর।
চেন্নাই, ৯ ফেব্রুয়ারি : তিনদিনের বেশি হয়ে গেল এআইএডিএমকের প্রধানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ শশীকলা নটরাজন। এবং পার্টিলাইন মেনে তিনিই হতে চলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। তবে এতদিনেও রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের সময় হল না চেন্নাইয়ে উপস্থিত থেকে চিনাম্মা শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করানোর।
আর এজন্য একেবারে সরাসরি রাজ্যপালকে বিঁধেছেন শশীকলা। তাঁর অভিযোগ, শপথগ্রহণ আটকে দিতে ইচ্ছে করে বিলম্ব করছেন রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর। অর্থাৎ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হতে না দেওয়ার চক্রান্তে শামিল মাননীয় রাজ্যপালও।
এর আগে বুধবার সকালেই এআইএডিএমকে সাংসদদের একটি দল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে দিল্লি উড়ে যায়। তবে তারা দেখা করার আগেই জানা গিয়েছে এদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপাল চেন্নাইয়ে ফিরছেন। তাই দিল্লি পৌঁছনো সাংসদদের সংসদের অধিবেশনের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ও পন্নিরসেলবম শশীকলার বিরুদ্ধে নিজের সমস্ত রাগ উগরে দিয়ে অভিযোগ করেন। পাল্টা জয়া ঘনিষ্ঠ শশীকলা বিধায়কদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে নিয়ে বৈঠকে জানিয়ে দেন, পন্নিরসেলবম ডিএমকে-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তিনি মিথ্যেবাদী। এআইএডিএমকে-কে কোনওভাবে ভাগ হতে দেব না। সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেব।
প্রসঙ্গত, শশীকলা অথবা এআইএডিএমকের শশী ঘনিষ্ঠ নেতারা গোটা ঘটনায় বিজেপিকে কোনওভাবে দোষারোপ করেননি। বরং তাদের অভিযোগ, ডিএমকে ও স্তালিনের পরামর্শে ও পন্নিরসেলবম আচমকা বিদ্রোহী হয়ে দলে ভাঙন ধরাতে উঠেপড়ে লেগেছেন।