'বন্দে মাতরম' না গাওয়ায় উত্তরপ্রদেশের মুসলিম কাউন্সিলরদের পাঠানো হল নির্বাসনে
"বন্দে মাতরম" গান গাইতে অস্বীকার করা মিরাটের ৭ পুর কাউন্সিলরকে নির্বাসনে পাঠানো হল। মঙ্গলবার পুরসভা কক্ষে যখন বন্দে মাতরম শুরু হয় তখনই এই সাত কাউন্সিলর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ।
মিরাট, ৩১ মার্চ : "বন্দে মাতরম" গান গাইতে অস্বীকার করা মিরাটের ৭ পুর কাউন্সিলরকে নির্বাসনে পাঠানো হল। মঙ্গলবার পুরসভা কক্ষে যখন বন্দে মাতরম শুরু হয় তখনই এই সাত কাউন্সিলর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ।
বছরের পর বছর ধরে নিয়ম চলে আসছিল, যারা বন্দে মাতরম গাইতে চান না তারা কক্ষ থেকে সেই সময় বেরিয়ে যেতে পারেনি। গান শেষ হয়ে গেলে ফের কক্ষে ফেরৎ আসতে পারেন। এই প্রথমবার বন্দে মাতরম না গাওয়ায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হল কাউন্সিলরদের।
বন্দে মাতরম গানের সময় কাউন্সিলররা বেরিয়ে যাওয়ায় অন্যান্য কাউন্সিলররা তাদের প্রশ্নবানে জর্জরিত করে। তাদেরকে উপহাসের পাত্র করা হয়।
উল্লেখ্য়, যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর ১১ দিনের মাথায় প্রথমবার পুরবোর্ডের বৈঠক হয়।
এই ঘটনার পর মেয়র শ্রীকান্ত আলুওয়ালিয়া প্রস্তাব আনেন, বন্দে মাতরম গান সমস্ত পুরসদস্যদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হোক। যারা এই গান গাইতে অস্বীকার করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। যদিও পুর কমিশনার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেননি।
মুসলিম কাউন্সিলররা জানিয়ে দিয়েছেন প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। এই গান তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরোধী। শারিয়া আইনের আওতায় তারা বন্দে মাতরম গাইতে পারেন না কারণ এখানে দেশকে ঈশ্বর হিসাবে বন্দনা করা হয়েছে।
মেয়রের কথায়, "কোনও সদস্য যদি বন্দে মাতরম গাইতে অস্বীকার করেন তা আমরা সহ্য করব না, তাতে জেলে যেতে হলে যাব।"
নির্বাসিত কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্যতম শাহিদ আব্বাসি বলেন, "আমরা দেশের জন্য প্রস্তুত তাও আমাদের সন্দেহের চোখে দেখা হয়।"
তবে মুসলিম বিশিষ্টদের একাংস মনে করছেন, যদি বন্দে মাতরম গানের সময় কেউ না গান তা ঠিক আছে। কিন্তু কক্ষ ছেড়ে যাওয়া মানে ওয়াক আউট করা। তাই বরং কাউন্সিলররা এই বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।