৩৫ বছর আগে নেওয়া আঙুলের ছাপেই ভারতে ফিরল ছোটা রাজন
মুম্বই, ১০ নভেম্বর : ১৯৮০ সালে একটি খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের। ঘটনায় গ্রেফতারও হয় সে। তখন নেওয়া হয় আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট। [দাউদ সম্পর্কে সিবিআইকে নয়া তথ্য দিলেন ছোটা রাজন]
সেই ৩৫ বছরের পুরনো ফিঙ্গার প্রিন্টের উপরে ভিত্তি করেই ভারতে ফেরানো সম্ভব হল এই কুখ্যাত অপরাধীকে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। [দাউদের সঙ্গে জড়িত মুম্বই পুলিশের বহু অফিসার : ছো়টা রাজন]
কোনও মামলায় রাজনের আঙুলের ছাপ না পেলে তাকে ভারতের হাতে ছাড়তে রাজি ছিল না ইন্দোনেশিয়া। সেজন্য কোনও একটি খুনের মামলায় নেওয়া রাজনের হাতের ছাপ প্রয়োজন ছিল। তবে সেইসমস্ত কাগজপত্রের অধিকাংশই বন্যায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। [ছোট রাজনের অপরাধ দুনিয়ায় পথ চলার গল্প]
এমতাবস্থায় রাজনকে দেশে ফেরাতে মোট ১৪টি বড় মামলার কাগজপত্র নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যান সিবিআই আধিকারিকেরা। তবে ওই লোকটিই যে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ছোটা রাজন তা বোঝাতে প্রয়োজন ছিল আঙুলের ছাপের। আর সেটাই দাবি করে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। [ইয়াকুব মেমনের অপরাধী হয়ে ওঠার কাহিনি]
এরপরই মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিবিআই। বলা হয়, রাজনের আঙুলের ছাপ খুঁজে বের করতে। আর তা করতে গিয়ে প্রায় কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের। খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছে না রাজনের হাতের আঙুলের ছাপ। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন সকলে। [মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী]
এতঃপর প্রায় ৩৫ বছর আগে ১৯৮০ সালে একটি খুনের ঘটনায় মুম্বইয়ের চেম্বুরের তিলকনগর পুলিশ স্টেশনে নেওয়া রাজনের হাতের আঙুলের ছাপ খুঁজে পায় পুলিশ (সেইসময়ে রাজেন্দ্র সদাশিব তখনও ছোটা রাজন হয়ে ওঠেনি)। [১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণ হয়েছিল মুম্বইয়ের কোন জায়গায়]
পুলিশ সূত্রে খবর, যদিও সেই কাগজটি তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সেই কাগজকে জুড়ে স্ক্যান করে ইন্দোনশিয়া পাঠানো হলে রাজনকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সেদেশের পুলিশ। [গত এক বছর ধরে করাচিতেই রয়েছে দাউদ]