Demonetisation নিয়ে এদিন নতুন কী কী বলল কেন্দ্র? জেনে নিন একনজরে
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ১ মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। হাতে রয়েছে আর মাত্র ১৫ দিন। এদিন নোট বাতিল নিয়ে ফের একবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস।
নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর : এদিন নোট বাতিল নিয়ে ফের একবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ১ মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। হাতে রয়েছে আর মাত্র ১৫ দিন। ৩০ ডিসেম্বরের পরে আর কোনওভাবেই বদল করা যাবে না পুরনো ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট।
এই অবস্থায় এদিন বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বাজারে লেনদেনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকার নোট। এতদিন সরকারি হাসপাতাল, মোবাইল রিচার্জ সহ নানা খাতে ৫০০ টাকার নোট খরচ করা যাচ্ছিল। এবার শেষ ১৫ দিনে সেটাও করা যাবে না। নোট বদল করতে হবে শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক থেকেই। তবে এর পাশাপাশি এদিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাংবাদিক বৈঠকে এসে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস।
এদিন যা যা বললেন শক্তিকান্ত দাস
নতুন ৫০০ ও ২ হাজারের নোট জাল করার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া এই নতুন নোটের ডিজাইন ভারতেই করা হয়েছে। নতুন নোটগুলিতে একেবারে স্বদেশীয় বলতে পারেন।
আমাদের প্রাথমিক ফোকাস ছিল ২ হাজার টাকার নোট যোগান দিয়ে পুরনো নোটের জায়গা ভরাট করা। এখন সরকার বেশি করে ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজে ফোকাস করেছে।
সারা দেশে মোট ২ লক্ষ ২০ হাজার এটিএম রয়েছে। তার মধ্যে ২ লক্ষ এটিএমকে ইতিমধ্যে নতুন করে সাজানো হয়ে গিয়েছে।
সারা বছরে আরবিআই যত পরিমাণ ১০০ অথবা তার কম মূল্যের নোট সরবরাহ করে, তার চেয়ে ৫ গুণ বেশি নোট গত একমাসে সরবরাহ করা হয়েছে।
তবে ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের শাখা থেকেই বেশি করে নগদ যোগান দিচ্ছে। এটিএম থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।
যখনই প্রয়োজন পড়বে ভবিষ্যতে বিমান অথবা হেলিকপ্টারে চাপিয়ে নতুন নোট পৌঁছে দেওয়া হবে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে নোটের যোগান অক্ষুণ্ণ রাখার দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলি অবৈধভাবে জমিয়ে রাখা কালো টাকা বের করে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর পেলেই সেখানে সেই সমস্ত জায়গায় সার্জিক্যাল হানা চালানো হচ্ছে।