সর্দার পটেলের পর এবার বড় পর্দায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকায় পরেশ রাওয়াল
ছোটবেলায় ট্রেনর প্ল্যাটফর্মে চা বিক্রি করতেন। চোখে ছিল একরাস স্বপ্ন ছিল। সেখান থেকে শুরু করে আজ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার সফরটা ছায়াছবির থেকে কোনও অংশে কম না। মোদীর জীবনের এই মূল্যবান অভিজ্ঞতার সফরটাই ক্যামেরাবন্দি হতে চলেছে লোকসভা ভোটের মুখে।
মোদীর চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে অনেকদিন ধরেই মুখিয়ে রয়েছেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর হয়ে নির্বাচনও সেরেছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে এই ছবিতে তিনিই মোদীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই ছবি নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে। উল্লেখ্য, এক বছর আগে সর্দার বল্লভ ভাই পটেলের জীবনী নিয়ে তৈরি হওয়া ছায়াছবি 'সর্দার'-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পরেশ রাওয়াল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী মোদীর সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করেই ছবির কাজ এগোবে। ছবির প্রযোজকরা ইতিমধ্যেই মোদীর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা সেরে ফেলেছেন। কিছুটা বাস্তব ও কিছুটা কাহিনীর রসায়ণেই তৈরি হবে ছবিটি।
হতে পারে কাকতলীয়। হতে পারে নির্বাচনী প্রচারের অঙ্ক। মোদী ঘনিষ্ঠরা অবশ্য দ্বিতীয় বিকল্পের সপক্ষেই হাত তুলছেন। সর্দার পটেলকে নিয়ে যখন বিজেপি-কংগ্রেস দড়ি টানাটানি তখন বড় পর্দায় ব্যবহৃত সর্দার প্যাটেলের মুখই আবার মোদীরও মুখ হবে এটা কাকতলীয় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন তাঁরা। কারণ ইতিমধ্যেই নেহেরু-গান্ধী পরিবারকে খাটো দেখাতে সর্দার পটেলকে হাতিয়ার করেছেন মোদী। এমনকী গুজরাতে সর্দার পটেলের বিশ্বের দীর্ঘতম উচ্চতার ঐক্যমূর্তি তৈরিও করেছেন। ফের বড়পর্দায় ব্যবহৃত সর্দার পটেলের মুখকে মোদীর চরিত্রায়ণে ব্যবহার করা আর যাই হোক কাকতালীয় হতে পারে না বলেই মনে করছেন তারা।
অবশ্য ছবির নির্মাতা মিতেশ পটেল বলছেন নির্বাচনের সঙ্গে এই ছবির কোনও সম্পর্খ নেই। যখন ছবির ভাবনা হয়েছিল তখনও মোদী বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়নি। তবে অনেকেরই অনুমান, ছবি তৈরির পরিকল্পনা পুরনো হলেও নির্বাচনের আগে যখন নাকি মোদী দিল্লির মসনদে বসার স্বপ্ন দেখছেন, তখনই তার উপর তৈরি ছায়াছবি মোদীর দূরদর্শীতারই পরিচয় দিচ্ছে।