কীভাবে পাকিস্তানে তৈরি জাল ভারতীয় নোট বাংলাদেশ হয়ে ঢুকছে এদেশে
নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর : সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ তো রয়েইছে। একইসঙ্গে রয়েছে ভারতীয় অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে দেওয়ার ঘৃণ্য চেষ্টা। এছাড়াও রয়েছে নারীপাচারের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ। আর এসবই চালিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে। [জেনে নিন কীভাবে মালদহ দিয়ে সারা দেশে ছড়াচ্ছে জাল নোট]
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে লক্ষ লক্ষ টাকার জাল নোট। এই অভিযোগে সম্প্রতি আব্দুল্লাহ সেলিম, জাহাঙ্গীর, আব্দুল খালেক, কামরুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান ও রাসেল নামে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। [বড়সড় জাল নোট চক্রের হদিশ খাস কলকাতায়]
ধৃতদের জেরা করে ভারতীয় অঙ্কে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা, ৯,১২৫ মার্কিন ডলার ও ২১টি পাকিস্তানি ও ৭টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি শিলমোহর বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে। [গাড়ি ইউ টার্ন নিতেই রাস্তা ঢাকা পড়ল পয়সার চাদরে]
এখানেই শেষ নয়, এই চক্র মানব পাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গেও জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত শিলমোহরগুলি পাকিস্তানে তৈরি হয়েছে এবং পরে তা বাংলাদেশে আনা হয়।
সাধারণত, এক লক্ষ টাকার জাল নোট চল্লিশ হাজার টাকায় কেনা হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মালদহ দিয়ে এই জাল নোট এদেশে পাঠানোর ছক কষা হয়েছিল। পরে তা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের গ্যাংটি শুধুমাত্র জাল নোট এদেশে পাচারের কাজটিই করে। সীমান্তে পাচারের কাজে জড়িত বাংলাদেশের অপরাধীরা। গত ২ বছরে পাচারের অপরাধে প্রায় ১৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি পুলিশ।