বৈষম্যের শিকার, পাকিস্তানে এসে থাকুন : শাহরুখকে আমন্ত্রণ হাফিজ সইদের
নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর : দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলায় ডানপন্থী মনোভাবাপন্না গোষ্ঠীর আক্রমণের নিশানায় পরতে হয়েছে অভিনেতা শাহরুখ খানকে। আর তারই পাল্টা জবাব দিতে এবার শাহরুখকে পাকিস্তানে গিয়ে থাকার আমন্ত্রণ দিলেন ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজ সইদ। [ ধর্মীয় অসিহষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলে শাহরুখও এবার 'পাকিস্তানি এজেন্ট'!]
হাফিজ এদিন একের পর এক টুইট করে বলেন, "ইসলাম ধর্মের কারণে কোনও মুসলিম ভাই এমনকি শাহরুখ খানও ভেদাভেদ বা সাম্প্রদায়িক কোনও সমস্যার মধ্যে পরেন ভারতে তাহলে তারা পাকিস্তানে এসে সানন্দে থাকতে পারেন। আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।"
বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী অসহিষ্ণুতা নিয়ে শাহরুখের মন্তব্যের পর তাঁকে আক্রমণ করে। শাহরুখ খানকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। কৈলাস বলেন," শাহরুখ দেশদ্রোহী, এবং এমন একজন যে রয়ে হিন্দুস্তানে কিন্তু তাঁর আত্মা রয়েছে পাকিস্তানেই।" এরপরেই হাফিজ সইদ একের পর এক টুইট করতে থাকেন।
শুধু তাই নয় মুসলিম ভাই ও শাহরুখ ছাড়াও অন্যান্য যে ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের জাতীয় পুরস্কার ফেরত দিয়ে দেশে বর্ধিত অসহিষ্ণুতা ও হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে হাফিজ। আর এই প্রসঙ্গ তুলেই মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে হাফিজ।
দেশে অসহিষ্ণুতা ক্রমশই বাড়ছে : পঞ্চাশতম জন্মদিনে জানালেন শাহরুখ খান
হাফিজের কথায়, "ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি বিশেষ করে মুসলমানদের প্রতি ভেদাভেদ এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট যে সোদীর সরকারও আর ধর্মনিরপেক্ষ নয়। এটা স্বেচ্ছাচারী হিন্দু দেশ একটা।" একইসঙ্গে হাফিজ এও বলে, "ভারতীয় বুদ্ধিজীবী য়াঁরা এই হিন্দু উগ্রবাদীদের হিংসা ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা পাকিস্তানে এলে তাদের আমরা স্বাগত জানাব।"
একইসঙ্গে মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে হাফিজের বক্তব্য, "আমরা ভারতকে দেখাতে পেরে খুশি হব যে কীভাবে জেইউডি (হাফিজের সংস্থা) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের জন্য তার ত্রাণের জন্য কিভাবে প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু ভারতে জনপ্রিয় ভারতীয় মুসলিমরা যাঁরা খেলা, শিক্ষা, শিল্প,সংস্কৃতির দুনিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করেছেন তাদেরকেও নিজের অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।"