প্রমাণ বলছে মুরথলে ধর্ষণ হয়েছে, খোঁজা হোক দোষীদের- পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট
প্রমাণ বলছে মুরথল ধর্ষণ হয়েছে, খোঁজা হোক দোষীদের। প্রমাণ বলছে মুরথলে ধর্ষণ হয়েছে, খোঁজা হোক দোষীদের
চণ্ডীগড়, ২০ জানুয়ারি : বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলাদের অন্তর্বাস থেকে বোঝা যাচ্ছে,হরিয়ানার মুরথল ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৬এর ফেব্রুয়ারিতে 'জাঠ' কোটা নিয়ে আন্দোলনের সময় এই ঘটনা ঘটে। এবার দোষীদের খুঁজে বার করা হোক। স্পষ্টভাষায় একথা পুলিশকে জানিয়ে দিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
বিচারকদের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘোষণার আগে ২ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান শোনে। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ট্যাক্সি চালক। তিনি জানান, মহিলাদের একরকম জোর করে নিজেদের গাড়ি থেকে টেনে বের করা হয় সেসময়। যা থেকে ঘটনা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে।
২০১৬ তে মুরথল ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে আসতেই সেসময়ে নড়ে চড়ে বসে তৎকালীন প্রশাসন। ঘটনায় তখন ৫ জনকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়। এরা প্রত্যেকেই আন্দোলনকারী বলে জানা যায়। কিন্তু তারপর ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া রক্তের সঙ্গে অভিযুক্তদের রক্তের নুমনায় মিল না থাকায় ,অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ,হাইকোর্ট তৎকালীন সিট বা বিশেষ তদন্তাকারী দলকে এই মর্মে একটি হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কারণ ঘটনায় তখনও ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে সিট কাজ নিয়েও বিস্তর সমালোচনা হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ,হরিয়ানার সোনেপতে চলছিল 'জাঠ কোটার' দাবিতে আন্দোলন। অভিযোগ ওঠে সেসময়ে আন্দোলনের মাঝেই ন্যাশনাল হাইওয়েতে চলা গাড়িকে থামিয়ে , সেখানে থেকে মহিলাদের নামিয়ে চলে পৈশাচিক গণধর্ষণ। পরে পুলিশের তরফে ঘটনা ধামাচাপ দেওয়ারও চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। এবিষয়ে ধর্ষিতাদের একজন পুলিশের কাছে অভিযোগও জানায়। অভিযুক্তদের সে চেনে বলেও দাবি করেন।