কলকাতা-জম্মুতে আইএসআই যোগ, চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার বিএসএফ জওয়ান-সহ ৫, এদের মধ্যে দুই তৃণমূল নেতা
নয়াদিল্লি/কলকাতা, ৩০ নভেম্বর : দুটি চরবৃত্তি গোষ্ঠী চক্র ফাঁস করল পুলিশ। জম্মু ও কলকাতা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক ব্যক্তিকে পাকিস্তানের আইএসআই-এর গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যজন বিএসএফ কর্মী। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সম্বন্ধীয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য পাকিস্তানে আইএসএই-এর কাছে পৌঁছে দেওয়াই এদের কাজ ছিল বলে অনুমান পুলিশের।
যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই দুই চক্রের (অর্থাৎ জম্মু থেকে ২ ও কলকাতার ৩ জন) মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়।
পুলিশ সূত্রের খবর এই দুজনের মধ্যে একজনের নাম কাফাইতুল্লাহ ওরফে মাস্টার রাজা। বয়স ৪৪ বছর। অন্যজন বিএসএফ-এর মুখ্য কনস্টেবল আবদুল রসিদ। জম্মু থেকে দিল্লি পুলিশ এদের গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কলকাতা থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে কিছু শ্রেণীবদ্ধ নথি উদ্ধার করা হয়েছে যার প্রভাব ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার উপর রয়েছে। আইএসআই-কে তথ্য মূলত ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠানো হত।
দিল্লির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) রবীন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, মাস্টার রাজা রাজৌরির একটি সিনিয়র স্কুলে কাজ করত। পাকিস্তানি গুপ্তর সংস্থার অন্যতম সদস্য সে। আর রসিদ তার প্রধান সূত্র।
অন্যদিকে কলকাতা থেকেও আইএসআই যোগ থাকার অভিযোগে একবালপুর থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ইরসাদ আনসারি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র প্রভাবশালী নেতা। তার ছেলে আসফাককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসফাক আবার গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। তৃতীয় ব্যক্তি ইরসাদের শ্যালক মহম্মদ জাহাঙ্গির। যদিও তৃণমূলের তরফে দলীয় যোগের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশসূত্রের খবর, দুজনেই করাচির। করাচি ঘুরতে যাওয়ার সময়ই আইএসআই এদের কাজে যোগ দেওয়ায়। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এরা আইএসআই-এর সঙ্গে কাজ করছে এবং আইএসআই-এর থেকে প্রশিক্ষণও নিচ্ছে।
শুধু আইএসআই যোগের তথ্য থাকাই নয়, পুলিশ এদের কাছ থেকে খিদিরপুর ডকের নকশা এবং ৫ লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।