পেইড নিউজ ফৌজদারী অপরাধ হিসাব বিবেচিত হোক, কেন্দ্রকে আর্জি নির্বাচন কমিশনের
সামনেই বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সরকারের কাছে কমিশনের আবেদন, ভোটের সময়ে টাকা বিলি বা ঘুষ দেওয়া ও পেইড নিউজ বানানোর ঘটনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা করা হোক
নয়াদিল্লি, ৮ ডিসেম্বর : ভোটের সময়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা বিলিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে বহু রাজনৈতিক দল। সেজন্য ভোটারদের মধ্যে যেমন টাকা বিলি হয় তেমনই সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে পেইড নিউজ বানিয়ে তা বাজারে ছাড়া হয় যাতে তা জনমানসে প্রভাব ফেলে।
নোট বাতিলের একমাস পার : এবার জনধন অ্যাকাউন্টে বেহিসাবি জমার উপরে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র
দেশের ১৯০০ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৪০০টি কখনও নির্বাচন লড়েনি, বলছে কমিশন
নির্বাচনী সংস্কারের লক্ষ্যে এবার এই দুই জায়গায় আঘাত করতে চাইছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সামনেই বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সরকারের কাছে কমিশনের আবেদন ভোটের সময়ে টাকা বিলি বা ঘুষ দেওয়া ও পেইড নিউজ বানানোর ঘটনাকে শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ বলে বিবেচনা করা হোক।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নাসিম জাইদি ইতিমধ্যেই আইন করে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কমিশন আবেদন জানিয়েছে যাতে ভোটের সময়ে প্রার্থীরা ভোটারদের হাতে টাকা দিলে, নিজেদের এজেন্টের মারফত সমর্থনদের টাকা বিলি করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। ফৌজদারী মামলা মোতাবেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসাবেও মঞ্জুর করার আর্জি জানানো হয়েছে।
এবার কীভাবে ধরে ধরে বেহিসাবি টাকা বের করবে সরকার, জেনে নিন
আন্দামানে দ্বীপান্তরের জীবন কাটাচ্ছেন পর্যটকরা, নোঙর করতে পারেনি নৌজাহাজ
এছাড়া জাল হলফনামা দিয়ে প্রার্থীপদ পূরণ করলে শাস্তির বিধান ৬ মাসের জেলের বদলে ২ বছরের করা হোক বলে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রকে জানিয়েছে। এছাড়া প্রার্থী যাতে ৬ বছরের জন্য নির্বাচনে লড়তে না পারে সেই আর্জিও জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
ঘুষের পাশাপাশি পেইড নিউজও নির্বাচনের সময়ে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় বলে মত নির্বাচন কমিশনের। নাসিম জাইদি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে লড়তে একজন প্রার্থী সর্বাধিক ৭৫ লক্ষ ও বিধানসভার জন্য ২৮ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন। এখনকারদিনে স্পষ্ট বলে দেওয়া যায় যে কোনটা পেইড নিউজ। সেইমতো আইন করে তার খরচ প্রার্থীর খরচের খাতায় ধরা হোক। এগুলি বন্ধ করা যাবে যদি কঠিন আইন বলবৎ করা যায়।