মরতে গিয়ে পন্ডিচেরিতে গণধর্ষণের শিকার, ধৃত দুই
পন্ডিচেরি, ২২ ডিসেম্বর: মনের দুঃখে সমুদ্রে ডুবে মরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্রোতের টানে অচৈতন্য অবস্থায় ভেসে গেলেন অন্য পারে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধার করা তো দূরে থাক, এক মহিলাকে গণধর্ষণ করল দুই যুবক। পরে অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তদের।
সূত্রের খবর, পন্ডিচেরির অরবিন্দ আশ্রমে বেআইনিভাবে বসবাস করছিল একটি পরিবার। আদালতের নির্দেশে গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের উচ্ছেদ করা হয়। বাবা-মা এবং চার মেয়ে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। মনের দুঃখে সবাই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। মা এবং তিন মেয়ে ডুবে মারা যান। আর বাবার সঙ্গে সমুদ্রে ভেসে যান আর এক মেয়ে। ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলার দাবি, জলে ঝাঁপ দেওয়ার পর কিছুক্ষণ বাবার সঙ্গে খাবি খাওয়ার পর স্রোতের টানে দু'জন আলাদা হয়ে যায়। এর পর আর কিছু মনে নেই।
যখন জ্ঞান ফেরে, তখন ওই মহিলা উপলব্ধি করেন যে, রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি সৈকতভূমিতে পরে আছে। যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা হচ্ছে। বাকিটা বুঝতে দেরি হয়নি। ওই অবস্থাতে তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষই তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। রাস্তার ধারের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে দুই যুবকের সন্দেহজনক গতিবিধি খুঁজে পায় পুলিশ। তদন্তে নেমে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হল এস রাজা এবং কে বিজয়কুমার। প্রথমজনের বয়স ৩৫ বছর আর দ্বিতীয়জনের বয়স হল ৩২ বছর। দু'জনেরই বাড়ি তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরম জেলায়। তারা পেশায় ট্যাক্সিচালক।
পুলিশি জেরার মুখে দুই অভিযুক্ত তাদের দোষ কবুল করেছে।