মানসিক বিকার, অসুস্থ মানুষদের মেট্রো রেলে না চড়ার বিজ্ঞপ্তি দিল দিল্লি মেট্রো
নয়াদিল্লি, ২৮ মে : নয়া নির্দেশিকায় বিতর্কের মুখে পড়ল দিল্লি মেট্রো। স্টেশনে মেট্রো কর্তৃপক্ষের লাগানো নির্দেশিকা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ" এবং যাঁরা নির্দিষ্টি কিছু সংক্রমণজাতীয় রোগে আক্রান্ত তাদের মেট্রোয় যাতায়াত না করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এও বলা হয়েছে কুষ্ঠ রোগীরা ক্ষেত্রে শুধু যারা নথিভুক্ত মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনারের সংশাপত্র নিয়ে, যাতে লেখা থাকবে এই রোগ সংক্রমক নয়, মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারবে।
যে সমস্ত সেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি মানুষের অক্ষমতার অধিকার নিয়ে কাজ করেন, দিল্লি মেট্রোর এই ধরণের অসংবেদনশীল বিজ্ঞপ্তিতে তারা চটেছেন।
এই ধরণে NGO গুলির একাংশের কথায়, "এই ধরণের নির্দেশিকা পক্ষপাতমূলক। এই ধরণের বিজ্ঞপ্তি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।"
অন্যদিকে সেন্টার ফর হলিস্টিক ডেভলপমেন্ট ফর হোমলেস সেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান সুনীল কুমার আলেদিয়া দিল্লির মেট্রো স্টেশনে এই বিজ্ঞপ্তি/নির্দেশিকা দেখার পরই স্টেশন কন্ট্রোলারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
তার কথায়, "বিজ্ঞপ্তিটি দেখার পর আমি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। দিল্লির মেট্রো রেল কর্পোরেশন যাকে একটি সংবেদনশীল সংস্থা বলেই গ্রহণ করা হয়, তারা কীভাবে এই ধরণের পক্ষপাতমূলক একটি বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে, তাও আবার মানুষের অসুস্থতা নিয়ে? তারা যদি চায় কোনও অসুস্থ মানুষ তাদের মেট্রোয় না উঠুক তাহলে হাসপাতালের কাছে সমস্ত মেট্রো স্টেশনই তাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত।"
বিজ্ঞপ্তিতে যে যে রোগের কথা বলা হয়েছে, তা হল, সেরিব্রো স্পাইনাল মেনেনজাইটিস, চিকেন পক্স,ডাইরিয়া, মাম্পস, হুপিং কাশি, জ্বরবিকার, কলেরা, হাম, টাইফয়েড এবং টিবি।
যদিও মেট্রো রেল সংস্থার তরেফে জানানো হয়েছে, "এই নির্দেশিকাগুলি পুরনো, দিল্লি মেট্রো কার্যবিধি এবং রক্ষণাবেক্ষন আইন অনুসারে এই নির্দেশিকা বহুদিন ধরেই ব্যবহার করা হচ্ছে। একই নির্দেশিকা লাগু অন্যান্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও।"