দেহব্যবসায় বাধ্য করেছিল রাহুল, সেজন্যই আত্মহত্যা করেন 'বালিকা বধূ' প্রত্যুষা?
প্রত্যুষাকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিলেন রাহুল। এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যুষার মামলা লড়া আইনজীবী নীরজ গুপ্তা। এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মুম্বইয়ের একটি পত্রিকায়ও।
মুম্বই, ৪ নভেম্বর : বালিকা বধূ খ্যাত অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিলেন তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ। প্রত্যুষার সঙ্গে রাহুলের শেষবার মোবাইলে যে কথা হয়, সেই কথোপকথন অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে প্রত্যুষাকে তাঁর বাবা-মা অর্থাৎ শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আলাদা করতে চেয়েছিল রাহুল। [আত্মঘাতী প্রত্যুষা মৃত্যুর পূর্বে গর্ভবতী হন, রিপোর্ট চিকিৎসকদের]
একইসঙ্গে এটা পরিষ্কার যে প্রত্যুষাকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিলেন রাহুল। এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যুষার মামলা লড়া আইনজীবী নীরজ গুপ্তা। এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মুম্বইয়ের একটি পত্রিকায়ও। [মুখ খুললেন প্রত্যুষার বাবা-মা! সামনে এল যে চাঞ্চল্যকর তথ্য!]
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে ফের একবার আবেদন করে এই মামলার তদন্ত শুরু করাতে। তাঁর কথায়, পুলিশের উচিত কে প্রত্যুষার বাবা-মাকে হুমকি দিচ্ছে তা খুঁজে বের করা। এই বিষয়ে আরও তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন নীরজ গুপ্তা। [প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু : যে ১০ টি কারণে সন্দেহ রাহুলের দিকে!]
মোবাইলে প্রত্যুষা ও রাহুলের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে তাঁর নির্যাস হল, "আমি নিজেকে বেচে দিতে এখানে আসিনি। আমি অভিনয় করতে এসেছি। কাজ করতে এসেছি। আর আমাকে তুমি কোথায় এলে ফেলছো? রাহুল তুমি জানো না কতোটা বাজে আমি এই মুহূর্তে অনুভব করছি।" [প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মহত্যা নিয়ে যে বিস্ফোরক অভিযোগ বন্ধুদের]
এদিকে প্রত্যুষার মৃত্যুর পরে রাহুলের বক্তব্য ছিল, "ও (প্রত্যুষা) আমাকে বলত বাবা-মা যেকোনওভাবে টাকা রোজগারের জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে। প্রত্যুষা সবসময় ওদের নামে আমার কাছে অভিযোগ করত।"
প্রসঙ্গত, এই বছরের ১ এপ্রিল মুম্বইয়ের গুরগাঁওয়ে নিজের ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় প্রত্যুষাকে। তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিংকে আটক করে মামলা রুজু করে পুলিশ।