নোট বাতিলের জেরে মন্দার কোপে দিল্লির যৌনপল্লি!
কালো টাকার দুর্নীতি রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে কালো টাকার মালিকদের পাশাপাশি দিল্লির যৌনপল্লির কর্মীরাও বেশ সমস্যায় পড়েছেন।
নয়াদিল্লি, ১৬ নভেম্বর : কালো টাকার দুর্নীতি রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে কালো টাকার মালিকদের পাশাপাশি দিল্লির যৌনপল্লির কর্মীরাও বেশ সমস্যায় পড়েছেন।
হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা অচল হয়ে যাওয়ায় পেশায় মন্দা চলছে যৌনকর্মীদের। [(ছবি) ভারতের এই ৭ যৌনপল্লির বিষয়ে আপনি কি জানেন?]
শ্রদ্ধানন্দ মার্গের রোড (জিবি রোড বলেই পরিচিত) যেখানে সারাদিনই যৌনকর্মীদের সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত, এখন প্রায় ফাঁকা সে পথ। নেপথ্যে নোট বাতিল। [(ছবি) দেহব্যবসার বিপুল চাহিদা মেটাতে যৌনপল্লি চলবে 'সেক্স রোবটেই'!]
যৌনকর্মীদের একাংশের কথায়, নোট বাতিলের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মার খাচ্ছে ব্যবসা, নয় খদ্দের এমুখো হচ্ছেই না, আর না হয় অচল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিয়ে চলে আসছে। এদিকে 'রেট' যে ২৫০ বা ৩৫০ টাকা। এত খুচরো তো দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে টানা এক সপ্তাহ ধরে ব্যবসা লাটে উঠছে। ['যৌন চক্রের আড়ত' হয়ে উঠেছে জেএনইউ, অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের]
জিবি রোডের এক যৌনকর্মীর কথায় কোনও হোটেলের সঙ্গে তাদের এসকর্ট পরিষেবার যোগাযোগ নেই। দিনমজুরের মতোই অল্প টাকার আমদানি আমাদের। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পরিষেবা নেই আমাদের, তাই সবচেয়ে বেশি সমস্যা। [(ছবি) দেহ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার 'কাহানি ঘর ঘর কি'-র ছোট্ট 'শ্রুতি']
গত এক সপ্তাহে জিবি রোডের ১১০টি পতিতালয়ের ৩০০০ যৌনকর্মীর মধ্যেই অর্ধেকই গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে। দিন আনি দিন খাই অবস্থার কারণে সঞ্চয়ও যৎসামান্যই। অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও নেই ফলে সমস্যা অনেক।