#Demonetisation : নোট বাতিলের ৫ মাস পরেও এটিএমগুলিতে ৩০% নগদ ঘাটতি
নোট বাতিলের পর থেকে পাঁচ মাস কেটে গেলেও দেশের বিভিন্ন এটিএমগুলিতে নগদ ঘাটতি রয়েই গিয়েছে। ক্যাশ লজিস্টিকস অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে এটিএমগুলিতে এখনও ৩০ শতাংশ নগদ ঘাটতি রয়েছে।
নয়াদিল্লি, ১২ এপ্রিল : নোট বাতিলের পর থেকে পাঁচ মাস কেটে গেলেও দেশের বিভিন্ন এটিএমগুলিতে নগদ ঘাটতি রয়েই গিয়েছে।
নগদ অর্থ চালিত অর্থনীতির সরবরাহে থাকা ৮৬ শতাংশ টাকাই সরকারের দুই উচ্চমূল্যের নোট বাতিলের ফলে বাজার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের কিছুটা হয়রানি হয়েইছে। ব্যাঙ্ক-এটিএমে লম্বা লাইন পড়েছে।
কিন্তু সরকারের বাজারে আনা নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটের ফলে গত জানুয়ারি মাসে নোটসমস্যা অনেকটাই দূর হয়। কিন্তু এটিএমগুলি এখনও পরিপূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্যাশ লজিস্টিকস অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে এটিএমগুলিতে এখনও ৩০ শতাংশ নগদ ঘাটতি রয়েছে।
এটিএমে টাকা ভরার জন্য ব্যাঙ্কগুলি নগদ সরবরাহকারি সংস্থা বা ক্যাশ লজিস্টিক্স সংস্থাকে নিয়োগ করে। এই সংস্থাগুলির সংগঠন বলছে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত ব্যাঙ্ক এটিএমে ঢোকানোর জন্য পর্যাপ্ত টাকা দিচ্ছে না।
এর পিছনে সম্ভাব্য একটি কারণ মনে করা হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি চাইছে গ্রাহকদের জন্য তাদের শাখাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থ থাক। সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় ব্যাঙ্কগুলির এই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
নগদ সরবরাহকারি সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, "বিভিন্ন জায়গায় এটিএমে টাকা না থাকার অভিযোগ আসছে। আসলে এটিএমগুলিতে মাত্র ৬৫শতাংশ টাকাই ঢোকানো হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমান টাকা এটিএমে ঢোকানোর জন্য না থাকায় আমাদের ও সাধারণ মানুষকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।"
এদিকে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি রিমনিটাইজেশন বা পুনঃমুদ্রাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নোটবাতিলের পর নগদঅর্থের লেনদেন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় ১.১৭ ট্রিলিয়ন টাকার নোট ছাপেনি আরবিআই। যার ফলেও নোট সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।
নগদ সরবরাহকারি সংগঠনের দাবি, ২০০০ টাকার নোটের চেয়ে ৫০০ টাকার নোটের চাহিদা বেশি।