দশেরা উপলক্ষে রাবণের বদলে মোদী-অমিত শাহের কুশপুতুল জ্বালালো JNU পড়ুয়ারা!
নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর : দশেরা উপলক্ষে রাবণের বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে, বাবা রামদেব-সহ অন্যান্যদের কুশপুতুল জ্বালালো জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া। ['যৌন চক্রের আড়ত' হয়ে উঠেছে জেএনইউ, অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের]
কংগ্রেস সমর্থিত ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (NSUI) মঙ্গলবার রাতে দশেরা উপলক্ষে মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোয় সমর্থন দেয় জেএনইউ পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ে কেন্দ্রের নাক গলানো এবং দলিতদের আক্রমণের বিরোধিতাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। [ 'Anti-National'সার্চ করলে গুগুল ম্যাপ নিয়ে যাবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে!]
NSUI সদস্য সানি দিমানের কথায়, "আধুনিক ও গণতান্ত্রিক দেশে কুশপুতুল জ্বালিয়ে আমরা মিথ্যার উপর সত্যের জয়কেই এখানে আমরা উদযাপন করছি।"
দিমানের কথায়, "পড়ুয়ারা জানে, দশেরায় পুতুল জ্বালানো কিন্তু বারণকে উদ্দেশ্য করে নয়। আসলে বদ শক্তিকে এদিন জ্বালানো হয়। কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যারা রামকে পুজো করে আবার আদিবাসীরা বারণকে পুজো করে। তাই আমাদের কাছে রাম বা রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো আসল কথা নয়। আমরা শুধু মিথ্যার উপর সত্যের জয়ের প্রতীক হিসাবেই এই কুশপুতুল পুড়িয়েছি।" [ ৩০০০ কন্ডোম, ২০০০ মদের বোতল রোজ মেলে JNU চত্ত্বরে, তোপ বিজেপি বিধায়কের!]
জেএনইউ পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, "যবে থেকে জগদীশ কুমার উপাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন তবে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নজরদারি চালানো বেড়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে জয় ভীম লেখায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে এক পড়ুয়াকে। গুজরাত সরকার ও গোরক্ষকের কুশপুতুল জ্বালানোয় শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এইসবের প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন।"
প্রসঙ্গত, চলতি বছপেপ শুরু থেকে আরও বেশি করে নজর গিয়ে পড়েছে জেএনইউ-এর উপর। ফেব্রুয়ারি মাসে ২০০১ সালের সংসদে হামলা চালানো আফজাল গুরুর হয়ে স্লোগান দিতে শোনা যায় জেএনইউ পড়ুয়াদের একাংশকে। এরপর প্রাক্তন জেএনইউএসইউ সভাপতি কানহাইয়া কুমার ও আরও দুই ছাত্রনেতাকে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ।