২ বছর আগে নেওয়া হয়েছিল নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত!
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে সারা দেশের নগদের হাহাকারের জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নীতিহীন পরিকল্পনা। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।
নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর : নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে সারা দেশের নগদের হাহাকারের জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নীতিহীন পরিকল্পনা। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। একইসঙ্গে তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ২ বছর আগে ২০১৪ সালেই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল।
তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বামীর বক্তব্য, অর্থ মন্ত্রকের উচিত ছিল ৫০০ ও ১ হাজারের নোট বাতিলের আগে জরুরি ভিত্তিতে এর পরবর্তী অবস্থা ভেবে নিয়ে পরিকল্পনা করে রাখা। কারণ সরকার ২০১৪ সালেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল এবং অর্থ মন্ত্রকের এই বিষয়ে নিখুঁত পরিকল্পনা করা উচিত ছিল।
এখানেই না থেমে স্বামীর অভিযোগ, অর্থ মন্ত্রক নোট বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও পরিকল্পনাই করেনি। এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছেন এই ভেবে যে অর্থমন্ত্রক পুরোপুরি তৈরি রয়েছে ও এই বিষয়টি সামলে নিতে পারবে।
এর পাশাপাশি এটিএমগুলিতে নোট না মেলার প্রসঙ্গে স্বামীর ব্যাখ্যা, নতুন ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের আকারে হেরফের হয়েছে। আগের নোটর সঙ্গে এই নোটের মিল নেই। যার ফলে এটিএমগুলি নগদশূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে।
২০১৪ সালে নোট বাতিল সহ একাধিক ইস্যুতে তৈরি হওয়া একটি কমিটির তিনি প্রধান ছিলেন জানিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, আমি আয়কর ব্যবস্থার অবসানের কথাও বলেছিলাম। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধাই হতো।
পাশাপাশি শীতকালীন অধিবেশনে নোট বাতিল বিতর্কে সংসদ উত্তাল থাকা নিয়েও মুখ খুলেছেন বিজেপির এই বিতর্কিত নেতা। তাঁর দাবি, সংসদ অচল করার মতো ঘটনাক জন্য কোনওভাবেই তাঁর দল দায়ী নয়। সংসদে যত উত্তেজনা, হই-হট্টগোল সবই কংগ্রেসের জন্য।