মৃত্যুর একদিন আগেই ফোনে দাদার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন কালাম
রামেশ্বরম, ২৯ জুলাই : দাদার বয়স ৯৯ বছর। কাছে থাকতে না পারলেও মাঝেমধ্যেই ফোন করে দাদার খবর নিতেন এপিজে আব্দুল কালাম। মৃত্যুর একদিন আগেও শিলং থেকে ফোন করে দাদা মুথু মীরা লেব্বাই মারাইকার কেমন আছেন তা বিস্তারে জানেন কালাম। [(ছবি) আব্দুল কালামকে নিয়ে অজানা কয়েকটি তথ্য]
পরিবারের সদস্য সলিম বলেন, ফোন করে শুধু দাদা নয়, সবার খোঁজ খবর নেন কালাম। বলেন, "শিলংয়ে খুব ঠাণ্ডা।" কিন্তু তখনও কেউ বুঝতে পারেনি ওই শিলংয়েই নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন তিনি। [(ছবি) আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী]
আজ, বুধবার দিল্লি থেকে তাঁর মরদেহ রামেশ্বরমে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরিবার পরিজনের ইচ্ছানুসারে জন্মভূমি রামেশ্বরমেই কালামের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বৃহস্পতিবার। [এই আক্ষেপ নিয়েই পৃথিবী ছাড়লেন এপিজে আব্দুল কালাম]
ইতিমধ্যে জেলা আধিকারিকরা রেলস্টেশনের কাছে একটি মসজিদ সংলগ্ন জমির পর্যবেক্ষণ করে রেখেছেন। সেখানেই কবর দেওয়া হবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির দেহ। কালামের ভাইপো কাসিম মহম্মদ জানিয়েছেন, রামেশ্বরমেই কালামের স্মৃতিসৌধ বানানো হবে। [ দিল্লিতে আনা হল ভারতরত্ন কালামের মরদেহ, 'গার্ড অফ অনার'-এ বিদায় মিসাইল ম্যানকে!]
রামেশ্বরমে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ কালামের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। আজ দিল্লির পালন বিমানবন্দর থেকে কালামের মরদেহকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। নাইডু জানিয়েছেন, কালামের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। [ (ছবি) দিল্লিতে এপিজে আব্দুল কালামকে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর!]
১০ নম্বর রাজাজি মার্গের বাসভবনে জনসাধরনের জন্য রাখা হয়েছিল কালামের দেহ। যাতে সাধারণ মানুষ এসে তাদের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ক্রমাগত সাধারণ মানুষেরা এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ দর্শন করে গিয়েছেন। বহু শিশু হাতে গোলাপ নিয়ে প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছিল মা-বাবা কিংবা বাড়ির বড়দের সঙ্গে।
২৭ জুলাই শিলং আইআইএম-এ পড়ুয়াদের উদ্দেশে ভাষণ রাখার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ভারতের মিসাইল ম্যানের। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।