হাঁটতে গেলে দুজন লোক লাগে, পাঁচ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন দাউদ!
নয়াদিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর : দাউদের গতিবিধি উপরে গত কয়েকবছর ধরে নজর রেখে চলা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর গোয়েন্দারা প্রথমেই সাবধান করেছেন। টিভি বা সংবাদপত্রে দাউদের যে ছবি আকছার দেখানো হয়, সেটা দেখে সঠিক ভাববেন না। সেগুলি অন্তত ২০ বছরের পুরনো। [১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের পর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম!]
১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিম বয়সের ভারে ন্যুব্জ। এক আধিকারিকের মতে, এখন একা হাঁটতে পারেন না দাউদ। দু'জন লোককে ধরতে হয়। শরীরটাও বিশেষ ভালো নেই।
বস্তুত, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরেই একেরপর এক ছোট-বড় অসুখ ও বয়সজনিত সমস্যা কাবু করেছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী দাউদ ইব্রাহিমকে। তাই জীবনের বাণপ্রস্থে পৌঁছে পাকিস্তানবাসী দাউদের মক্কায় গিয়ে বাকী জীবনটা কাটানোর ইচ্ছে হয়েছে।
তবে এত দেশের পুলিশ ও ইন্টারপোলের নজর এড়িয়ে মক্কায় থিতু হতে বাধা রয়েছে। সেজন্যই আপাতত সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে।
অন্যদিকে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গত বেশকিছু বছর ধরে দাউদের সমস্ত ব্যবসাই তাঁর ভাই আনিস ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল দেখাশোনা করেন। এখন আর এসব বিষয়ে প্রায় নাক গলাতেই হয় না দাউদকে।
ফলে তিনি একরকম অবসর নিয়েই ফেলেছেন বলে খবর অন্য একটি সূত্রে। দাউদের পর গোটা ডি কোম্পানির ভার মাথায় উঠবে আনিসের। আর ভারত ও দুবাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা দেখাশোনার গুরুদায়িত্ব থাকবে ছোটা শাকিলের কাঁধে।
এমন আরও খবর পড়ুন এখানে :
পাকিস্তানেই বহাল তবিয়তে রয়েছে দাউদ, বলছে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট
সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করা দিয়ে শুরু হয়েছিল ছোট রাজনের অপরাধ দুনিয়ায় পথ চলা!
১৯৯৩ থেকে ২০১৫ : মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী
উচ্চ শিক্ষিত ইয়াকুব মেমনের অপরাধী হয়ে ওঠার কাহিনি